কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে যুবদল কর্মী এস এম তৌহিদ সোহেল হত্যার ঘটনায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে তাকে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আহসান হাবীব মিঠু কুমিল্লার নগরীর মধ্য রেইসকোর্স এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে। তিনিও কুমিল্লা জেলা যুবদলের কর্মী ছিলেন। বর্তমানে মিঠু পালাতক।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন এই রায় দেন।
ঘোষিত রায় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নগরীর রেইসকোর্স লাইফ অব বেঙ্গল রেস্টুরেন্টে কুমিল্লা জেলা বিএনপির একটি অনুষ্ঠানে যুবদলকর্মী আহসান হাবীব মিঠুর সঙ্গে একই দলের আরেক কর্মী মধ্য রেইসকোর্স এলাকার আবদুল আজিজ ভূইয়ার ছেলে এসএম তৌহিদ সোহেলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান শেষে সোহেল তার কর্মীদের নিয়ে শাহীন কামালের হোটেলের সামনে অবস্থান করে। ঠিক তখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিঠু তার দলবল নিয়ে এসে সোহেলের বুকের উভয় পার্শ্বে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থল থেকে সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মুন হাসপাতাল পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান।
পরে এই ঘটনায় সোহেলের স্ত্রী বদরুন্নাহার লুনা আহসান হাবীব মিঠু ও তার ভাই মোস্তফা জামানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. শাহেদ হাসান নামে আরও একজনকে সংযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ ৮ বছর পর বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) এসএম তৌহিদ সোহেলকে হত্যার দায়ে আদালত আহসান হাবীব মিঠুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকি দুই আসামি মোস্তফা জামান ও মো. শাহেদ হাসানকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া জানান, আরও দুই তারিখ পূর্বে এই মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালত দুই তারিখ অতিক্রম করে তৃতীয় তারিখে এসে রায় দিয়েছেন। এসে বাদী পক্ষ অনেক হয়রানির স্বীকার হয়েছেন।