আদালত প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকা থেকে ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে (৯) অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার নূর নাজমা আক্তার লুপা তালুকদারের (৪২) জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
শাহবাগ থানায় করা অপহরণ মামলায় দুইদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শুক্রবার লুপাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের এসআই মো. শাহজাহান মিয়া।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষ বিচারক লুপার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারের পর লুপাকে পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর অপহৃত শিশু জিনিয়াকে তার মায়ের জিম্মায় দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়া।
গত ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) রমনা বিভাগ।
এ সময় নূর নাজমা আক্তার লুপা তালুকদারকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাকে গ্রেফতারের পর ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, লুপা তালুকদার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জিনিয়াকে অপহরণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে সর্বশেষ জিনিয়াকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে অপরিচিত দুজন নারীর সঙ্গে ফুচকা খেতে দেখেছিলেন তার মা সেনুরা বেগম। এর পর থেকে জিনিয়ার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।
অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পর দিন (২ সেপ্টেম্বর) সেনুরা বেগম শাহবাগ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। অবশেষে ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মিষ্টি মেয়ে জিনিয়াকে লুপা তালুকদারের কথিত বোনের বাসা থেকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, জিনিয়া ঢাবির টিএসসি চত্বরে ফুল বিক্রি করত। ছোটবেলা থেকেই মা সেনুরা বেগমের সঙ্গে টিএসসিতে থাকত সে। তিনি গত ২ সেপ্টেম্বর জিনিয়ার নিখোঁজের বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।