মাসুদ পারভেজ: ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আস্থার প্রতিক আলহাজ্ব হাবীব হাসান। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রয়াত এ্যাড. সাহারা খাতুন এম.পির বিশ্বস্ত কর্মী হিসাবে জনমনে সমাদৃত । ওয়ান এলিভেন সরকারের সময় কারবন্দী দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির সংগ্রামে উত্তরায় একক নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন আলহাজ্ব হাবীব হাসান। বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারণ করা এ নিরহংকারী মানব সেবী নিন্ম আয়ের অসহায় মানুষ, ফুটপাত ও বস্তিতে থাকা পরিবারগুলোর পাশে অভিভাবক হিসেবে দাড়িয়ে আছিরুন নেছা আব্দুল লতিফ ফাউন্ডেশন গঠন করে নির্ভীক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদূরভাবের কারণে কর্মহীন, বেকার, অসহায়, গরীব পরিবারের পাশে ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে সর্বস্তরের জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়ে এ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন আলহাজ্ব হাবীব হাসান। ওয়ান এলিভেন সরকারের সময় কারবন্দী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে গণস্বাক্ষর গ্রহণে তার উদ্দ্যোগ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল দেশজুড়ে।
তিনি এ্যাড. সাহারা খাতুন এর জীবদশায় দুই যুগের ও বেশি সময় ধরে তার আস্তাবাজন হয়ে ঢাকা ১৮ আসনের রাজনীতিতে সরব ছিলেন। ঢাকা মহনগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবীব হাসান ঢাকা ১৮ আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা। ৯০ এর গণ আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
৯১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে জেল-জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হওয়া ছাড়ও ঐ সময় ক্ষমতাসীন দল জামায়াত, বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার বাড়ী ঘর ভাঙ্গচুর ও দখলের চেষ্টা করে। বি.এন.পি, জামায়াত জোট সরকারের সময় আন্দোলন সংগ্রামে জেলে যাওয়া কর্মীদের আইনী সহায়তা প্রদান এবং পরিবারে ভরণ পোষণনের দায়িত্ব নেয়াসহ নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার কারণে তিনি এলাকায় কর্মী বান্ধব নেতা হিসাবে বিশেষভাবে পরিচিত। কেবল রাজনীতি নয় বিভিন্ন সমাজিক অনুষ্ঠানেও তাকে কাছে পায় এলাকাবাসী। যে কারণে তার প্রতি স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সাধারণ মানুষের বিশেষ সহানুভূতি রয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক ও আর্থিক দিক থেকে তিনি প্রভাবশালী এবং একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ব্যবসায়ী। প্রবীন রাজনীতিবীদ এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, এ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন এবং প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাষ্টার’এর হাত ধরে এই ত্যাগীবাদী নেতার রাজনীতির পথ চলা শুরু হয়।
আলহাজ্ব হাবিব হাসান কে নিয়ে বৃহত্তর উত্তরাবাসী তথা ঢাকা-১৮ আসনের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন গর্ববোধ করেন। তিনি এখন একজন তরুন সফল রাজনীতিবীদ হিসেবে জনমনে সমাদৃত। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক, রাজনীতিতে নির্ভীক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক আলহাজ্ব হাবিব হাসান ঢাকা-১৮ আসন থেকে ১১তম জাতীয় সংসদ এর উপ- নির্বাচনে দলিয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগনের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পেলে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়িয়ে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করবে বলে জানান এলাকার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।