আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের নিষিদ্ধ ইসলামপন্থি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতা মোহাম্মদ বাদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ২০১৩ সালের সহিংসতার ঘটনায় তাকে এই শাস্তি দেওয়া হলো বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
বাদির সঙ্গে আরও দুই নেতা মোহাম্মদ এল বেলতাগি, সাফওয়াত হেগাজি এবং সংগঠনের আরও ৯ নেতাকে একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পোর্ট সাঈদের একটি পুলিশ স্টেশনে সহিংসতার অপরাধে তারা শাস্তি পেলেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্র পরিচালিত আরহাম অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইট।
বাদীদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের কারাদণ্ড বাতিল হলে পুনরায় বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচজনকে হত্যা ও আরও ৭০ জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ছিল। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারী সম্পত্তি লুটপাট, পোর্ট সাঈদের আল আরব পুলিশ স্টেশনের অস্ত্রাগার ও গোলাবারুদ লুটের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
মিশরীয় আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২৫ বছর। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে এখনও চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন বাদি ও তার সহযোগীরা।
২০১০ সালে মুসলিম ব্রাদারহুডের অষ্টম শীর্ষ প্রধান নির্বাচিত হন বাদি। ২০১৩ সালে কায়রোতে ১০ জনকে হত্যার আদেশ দেওয়ার অভিযোগে আরেক মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে মিশরের তৎকালীন সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসা হাজার হাজার ব্রাদারহুড নেতাকর্মীকে কঠোর হাতে দমন করে মিশর সরকার। ফলে সারাদেশে ব্যাপক দাঙ্গা ও সহিংসতা দেখা দেয়। সিসি সরকার ওই সহিংসতার জন্য মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করেছে।