জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনের প্রথমদিন শেষ হয়েছে। এতে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা ও আটক বা আহত করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১১ টায় পিলখানায় সদর দপ্তরে সম্মেলন শুরু হয়। চলে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
প্রথমদিনের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি হত্যা করার সঙ্গে সীমান্তে অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার, বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া আটক, অবৈধভাবে সীমান্তে অতিক্রম বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণকাজ, উভয়দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারি নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন-ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পার্বত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, বৈঠকের শেষদিন সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তবে আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হচ্ছে।
বৈঠকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামসহ ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। এছাড়া বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।