আদালত প্রতিবেদক: শুদ্ধ উচ্চারণে ‘আসসালামু আলাইকুম’ এবং ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলাকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করায় অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুইটি মামলা সিটিটিসির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি দুটি গ্রহণ করে এ নির্দেশ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের সেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগে তদন্ত করে ১ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন এতথ্য জানান।
এর আগে আদালতে মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম একটি এবং ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ‘ডিবিসি নিউজ’ টেলিভিশন চ্যানেলের ‘উপসংহার’ নামক টক শো-তে ‘ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ’ বিষয়ক আলোচনায় মুসলিমদের শুদ্ধ উচ্চারণে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলা ও ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলাকে গর্হিত, নিন্দনীয়, জঘন্য ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক জিয়াউর রহমান। এসবকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন তিনি।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের প্রদত্ত নির্দেশনা ও শিক্ষানুযায়ী শুদ্ধভাবে সালাম দেওয়াকে আসামি অত্যন্ত গর্হিত, নিন্দনীয়, বেয়াদবিপূর্ণ ও জঘন্যভাবে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের শুদ্ধভাবে ধর্মীয় ইবাদত পালনের মৌখিক অধিকারকে খর্ব করার চেষ্ঠা করেছেন। যা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে পারে। আসামির এরূপ মন্তব্য মুসলিম ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত করেছে।