মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল এবং দেশের বহুল প্রচারিত, জনপ্রিয় গণমাধ্যম দৈনিক ভোরের পাতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
হয়েছেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ। যদিও এই ইউসুফ
আব্দুল্লাহ নিজেই দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হিসাবে রয়েছেন। ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে
অবস্থিত ভোরের পাতা অফিসকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই নানামুখী সমস্যা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
২০১৮ সালের মে মাসের ৫ তারিখ গভীর রাতে দৈনিক ভোরের পাতার সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ
মোঃ আব্দুল্লাহ” র লোকজন। এরপর নানা সময়ে বিষয়টি নিয়ে তেজগাঁও থানা এবং ডিসি অফিসে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের
একাধিক বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে সিনিয়র সহকারী জাজ (দ্বিতীয় আদালত, ঢাকা কোর্ট) এ ভোরের
পাতার পক্ষে মহা ব্যবস্থাপক ( প্রশাসন) মাহবুবুর রহমান নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় গং এর বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার
১৫৬/২০১৮ মামলা করে-অস্থারী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত করলে বিজ্ঞ আদালত অন্তরবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান
করেন। উক্ত নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্তেও আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জোর পূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং
বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী লোকজন এনে ত্রাস সৃষ্টি করছে।
এমনকি চলতি অক্টোবর মাসের ২১ তারিখ ভোরে তেজগাঁও থানা অফিসার ইনচার্জের সহযোগিতায় আবু ইউসুফ মোঃ
আব্দুল্লাহর গংরা গোপনে যেখানে ভোরের পাতার সাইনবোর্ড সেখানে নর্দান কলেজের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ফেলে। এরপর
(ভোরের পাতার ফ্লোরের জায়গাটি খালি থাকায় সেখানে সাইনবোর্ড উঠাতে গেলে প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহর
সন্ত্রাসী বাহিনী বাঁধা দেয়। এক্ষেত্রে তেজগাঁও থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারা বিষয়টি সমাধান করেনি। এমনকি থানার
অফিসার ইনচার্জ মো. সালাউদ্দিন মিয়া বিজ্ঞ আদালত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা সর্তেও তা অমান্য করে প্রফেসর ড. আবু
ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহর গংদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে সেখানে নর্দান কলেজের সাইনবোর্ড টাঙানোর সুযোগ করে দেই যা
অনাকাঙ্ফিত এবং সাংবাদিক মহলে বিষয়টি নিন্দিত হয়েছে। এছাড়া ভোরের পাতা অফিসের নিচে নর্দান ক্যাম্পাসের বিভিন্ন
জায়গায় প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে। এ অবস্থায় দৈনিক ভোরের পাতার
সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতংকের মধ্যে রয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সরকারের বিভিন্ন স্তরে জানানো হয়েছে। সবাই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত
রয়েছেন। এ অবস্থায় যেকোনো ধরণের দূর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেছে ভোরের পাতা
পরিবার। ইতিমধ্যে সাইনবোর্ড ইস্যুতে ভোরের পাতার পক্ষ থেকে ২২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে তেজগাঁও থানায় সাধারণ
ডায়েরী করা হয়েছে। জিডি নম্বর: ১১৪৭ (২০-১০-২০২০)। এছাড়া ৬ এপ্রিল ২০১৮ সালেও একটি জিডি করা হয়েছে।
(জিডি নম্বর ২০৯ (০৬-০৪-২০১৮)।