‘দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুৎসা রটাতো প্রতারক সিকদার লিটন। শুধু তাই নয়, এলাকার অনেক সম্মানিত ব্যক্তিকে নিয়েও আজেবাজে কথা লিখে গুজব ছড়াতো। আবার প্রতারণার মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো।’
সাইবার অপরাধের মামলায় কারাবন্দি প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার। তার বিরুদ্ধেও প্রতারক সিকদার লিটন ফেসবুকে কুৎসা রটিয়েছিল।
পৌর মেয়র বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেককে নিয়ে প্রতারক সিকদার লিটন আজেবাজে কথা ফেসবুকে লিখত, গুজব ছড়াতো। আমাকে নিয়েও অনেক কিছু লিখেছিল।পরে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (জিডি) করেছিলাম। বর্তমানে তা তদন্তাধীন। প্রতারক লিটনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। অনেক মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছে।সে সম্পূর্ণ প্রতারক কিসিমের লোক। ফেসবুকে সমাজের প্রতিষ্ঠিত কিছু মানুষের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে টাকা আদায় করত। যা তার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
স্থানীয়দের কাছে প্রতারক হিসেবেই পরিচিতি জানিয়ে মেয়র সাইফার জানান, একবার আলফাডাঙ্গার গোপালপুর বাজারে মোবাইল চুরির ঘটনায় তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ সাত বছর ধরে সে এলাকা ছাড়া। এলাকার বহু মানুষ তার মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়েছে। অনেকে আমাদের্ কাছে এসে তার বিষয়ে বলে।
এদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার চরডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে সিকদার লিটন স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী হিসেবে পরিচিত। এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে প্রতারক সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব-৮। এরপর রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় সিআইডি। ভয়ংকর এই প্রতারকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, সাইবার অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়িত ছিল না সিকদার লিটন। নিজের শ্বশুরের নামেও পাঁচটি মামলা করেছিল এই প্রতারক।