ধর্ম ডেস্ক : আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে মানুষকে দান করতে এবং কৃপণতা পরিহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই দুই শ্রেণির মানুষের জন্য ধ্বংস ও কল্যাণে প্রতিদিন দুই জন ফেরেশতা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। এ সম্পর্কে কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
‘অতঃপর যে ব্যক্তি দান করেছে এবং আল্লাহকে ভয় করেছে আর ভাল কথাকে সত্য বলে বুঝেছে, তবে আমি তাকে শান্তির উপকরণ প্রদান করব। আর যে ব্যক্তি কার্পণ্য করেছে এবং বেপরোয়া হয়েছে আর ভাল কথাকে অবিশ্বাস করেছে, এ ফলশ্রুতিতে আমি তাকে ক্লেশদায়ক বস্তুর জন্য আসবাব প্রদান করব। (সুরা আল-লাইল : আয়াত৫-৯)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় এসেছে প্রতিদিন দুই জন ফেরেশতার একজন আল্লাহ তাআলার কাছে দানকারীর জন্য কল্যাণের প্রার্থনা করেন। আর এক কৃপণের জন্য ধ্বংসের বদদোয়া করেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিদিন সকালে দুই জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের উত্তম বিনিময় দান করুন। আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! আপনি কৃপণকে ধ্বংস করে দিন।’ (বুখারি)
কুরআন-সুন্নাহর ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের উচিত ৩ টি কাজ মেনে চলা আর ৩টি কাজ থেকে বিরত থাকা। যে ৩টি কাজ মেনে চললে আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়া যাবে এবং যে ৩ কাজে ধ্বংস অনিবার্য; তাহলো-
কল্যাণ লাভের ৩ কাজ
১. আল্লাহর জন্য দান করা।
২. আল্লাহকে ভয় করা।
৩. ভালো কথাগুলোকে সত্য বলে মেনে নেওয়া।
ধ্বংস হওয়ার ৩ কাজ
১. কৃপণতা করা।
২. ইসলামের বিধান না মেনে বেপরোয়া হওয়া। এবং
৩. ভালো কথাকে অবিশ্বাস করা। এ ৩ কাজ করলে ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তির ধ্বংসের জন্য বদদোয়া করে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কল্যাণ ও অনুগ্রহ পেতে উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। কুরআনের নির্দেশনা ও হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।