লাইফস্টাইল ডেস্ক : রুচি বাড়াতে অনেক কার্যকরী হচ্ছে খেজুর। শিশুদের খাবারে অরুচি থাকলে তাদের নিয়মিত খেজুর খাওয়াতে পারেন। পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেলে হজম ব্যবস্থার দ্রুত উন্নত হয়। এর উচ্চ ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যার সমাধানও করে। খেজুর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতেও সহায়তা করবে।
খেজুর প্রোটিনের একটি শক্তিশালী উৎস যা আমাদের পেশীগুলোকে শক্তিশালী রাখে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদের প্রতিদিনের খাবারে খেজুর রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
খেজুরে থাকে ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ৩, বি ৫, এ ১ এবং সি। এটি আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপশি আপনার শক্তির মাত্রায়ও একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে। কারণ খেজুরে আছে গ্লুকোজ, সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। সুতরাং প্রতিদিনের নাস্তার বিকল্প হিসেবেও রাখতে পারেন। কারণ দ্রুত শক্তি পেতে খেজুরের চেয়ে ভালো বিকল্প হয় না।
হাড় ভালো রাখা জরুরি। কারণ হাড়ের সমস্যা দেখা দিলে তা সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। এটি হাড় ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। খেজুরে আছে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা এবং ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হাড়কে সুস্থ রাখতে এবং অস্টিওপরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও খেজুরে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এই উপাদান। এতে অল্প সোডিয়ামও থাকে যা আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে ঠিক রাখে। খেজুর পটাশিয়াম কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খেজুরে থাকা ফ্লোরিন আপনার দাঁতকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। পাশাপাশি খেজুরে আয়রন থাকে। তাই যারা আয়রনের অভাবে ভুগছেন তাদের খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গুরুতর আয়রনের অভাবজনিত কারণে রক্তাস্বল্পতা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হতে পারে। এসব সমস্যা দূর করে খেজুর। এছাড়াও এটি রক্ত পরিশোধনের ক্ষেত্রেও দারুণভাবে কাজ করে।