যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। ৪০ বছরের মধ্যে রেকর্ডে পৌঁছেছে দেশটির মূল্যস্ফীতি। গত মে মাসে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৬ শতাংশ স্পর্শ করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি জ্বালানির দামও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বলে জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য, জ্বালানি থেকে শুরু করে সবকিছুর দামই এখন আকাশছোঁয়া। ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস বলছে, গেল মে মাসে মার্কিন ভোক্তা মূল্যসূচক এক লাফে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে স্পর্শ করেছে। গত বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে দেশটিতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ।
আগে যে খরচে সংসার চলত, তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পরিবারগুলোকে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে অনেক পরিবারকেই মাস চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে মার্চ মাস থেকে সুদের হার বাড়ায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের কারণে বাড়তি দাম অর্থনীতিকে স্থির হতে দিচ্ছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে চিকিৎসা, জ্বালানিসহ বিমান ভাড়া দ্রুতগতিতে বেড়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস। গত বছরের তুলনায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান, করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউনসহ নানা কারণে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় অনেক দেশে মন্দার ঝুঁকি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো কোনোভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হলেও, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য মন্দা এড়ানো কঠিন হবে শঙ্কা তাদের।