নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় বাজার জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। নুরুল হক নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে। সরেজমিনে ও স্থানীয় সুত্রে পাওয়া তথ্য মতে চান্দনা চৌরাস্তার বাজারটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে। তৎকালীন বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহানের মাধ্যমে প্রায় ৯০জন সদস্যেও সমন্বয়ে। বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাজারের প্রতিষ্ঠাতা সোবহানের বিরুদ্ধে চলতে থাকে মামলা হামলার মত জঘন্য ঘটনা। এ বিষয়ে বাজারের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সোবহানের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের নিকট তুলে ধরেন বাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রের লোমর্হষক সব ঘটনা। ঘটনার বিবরণে আব্দুস সোবহান বলেন, ১৩ জানুয়ারী ২০০৫ সনে নুরুল হক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট হতে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে অনাবাদি পতিত ৭২ শতাংশ জমি গ্রহন করে কাঁচামালের আড়ৎ গড়ে তুলেন। আব্দুস সোবাহান প্রতিবেদককে আরো বলেন, কাঁচামালের আড়ৎটি প্রতিষ্ঠার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্রেই জমির মালিক নুরুল হকের লোলুপদৃষ্টি পড়ে বাজারের ওপর। একই সাথে বাজার থেকে সোবহানকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের নীল নকশা আঁকতে শুরু করেন। ঘটনার পরিপেক্ষিতে নতুন করে চুক্তিনামা করে দেবার কথা বলে সোবহানের নিকট হতে চুক্তিনামার মূল কপি হাতিয়ে নেয় নুরুল হক। চুক্তিনামা হস্তগত কারার কয়েক দিন পর বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী নিয়ে বাজারটি জবর দখল করে নেয়। তৎকালীন সময়ে আব্দুস সোবহান বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগীতায় বাজারটি পুনরায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আবারো নুরুল হক ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে আব্দুস সোবহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার লালীত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সোবহানসহ বাজারের একাধিক ব্যক্তিকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। যার মেডিকেল রির্পোট সোবহানের নিকট আজও রক্ষিত আছে। ওই সময় নুরুল হক বিএনপি‘র একজন স্বক্রীয় নেতা হওয়ার কারণে থানা পুলিশ সোবহানের মামলা গ্রহন করেনি। নুরুল হক দলীয় সুবিধা নিয়ে বাজার মালিকদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। নুরুল হকের দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন সময়ের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন সাহেবের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হয় এবং এনসিসি ব্যংকের একটি চেকের মাধ্যমে আব্দুস সোবাহান ৯লক্ষ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক ভাড়া বাবদ নুরুল হক‘কে প্রদান করেন। এভাবে র্দীঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ২০১৬ সালে নুরুল হক শাহনাজ পারভীন নামের এক নারীসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে বাজারে প্রবেশ করেন। এসময় আব্দুস সোবহান বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমতি পত্রসহ বাজারের মালিকানা সকল প্রমাণাধী পুলিশের নিকট দাখিল করলে আলোচানার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ চলে যায়। পরবর্তী সময়ে নুরুল হকের সঙ্গীয় ওই নারী শাহানাজ পারভীন নিজেকে নুরুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ে আব্দুস সোবহানের সাথে আলোচনায় বসেন। স্বামী নুরুল হকের নিকট হতে ব্যপক ক্ষমতা সম্পন্ন আমমোক্তারনামা দলিল মূলে জমির মালিক হয়ে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা জামানত বুঝিয়া পেয়ে ১০ বছরের জন্য নতুন চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন ২০১৬ সনে। স্ত্রী ও আমমোক্তার নামা প্রদানের বিষয়ে শাহানাজ পারভীনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৪ সনে ২৫লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া নুরুল হকের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। সেই সাথে আমমোক্তারনামা দলিল মূলে আমার স্বামী আমাকে জমির মালিকানা হস্তান্তর করেন। ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহানাজ পারভীর বলেন,চুক্তি অনুযায়ী আমি নিজেই সোবহানের নিকট হইতে প্রতি মাসের ভাড়ার টাকা গ্রহন করে আসছি। বর্তমানে আপনার স্বামী নুরুল হক বাজার দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহানাজ পারভীন বলেন,আমার স্বামী বিভিন্ন সময় বাজার দখলের অপচেষ্টা করেছে এরই পরিপেক্ষিতে গাজীপুর আদালতে একটি পিটিশন মামলা নং-৪৮১/১৬ দায়ের করেন। যাহার জাবাব আদালতে আমি নিজেই দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। বাজার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান অভিযোগ করেন,বাজারের সঠিক মালিকানা থাকা সত্বেও নুরুল হক বিভিন্ন উপায়ে বাজারটি আবারো জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এবিষয়ে আইনি সহায়তা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সোবাহান বলেন, গাজীপুর আদালতে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেছি যাহার নং-৫৫০/২০২২ ।