যুবতীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করে চরম হেনস্তার শিকার হলেন মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী। লুট হলো টাকা, সোনার গয়নাও। ঐ যুবতীর সঙ্গে মাঝে মাঝে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন ব্যবসায়ী। পাল্টা যুবতী তার থেকে টাকা নিত। সম্প্রতি যুবতী ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এত টাকা দিতে নারাজ হন ব্যবসায়ী। এরপর বাউন্সার ভাড়া করে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে যুবতী। মারধর করার পাশাপাশি তাকে নগ্ন করে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত টাকা আর সোনার গয়না দিয়ে যুবতীর হাত থেকে মুক্ত পান ব্যবসায়ী। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় যুবতী ও দুই বাউন্সারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ভারতের মুম্বাইয়ের। সেখানকার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ের দোম্বিভলির বাসিন্দা ঐ ব্যবসায়ীর নাম এস গায়কোয়াড়। তার সঙ্গে গত ছয় মাস ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ২২ বছরের সঞ্জনা রাঠোরের। সঞ্জনা মাঝমাঝেই টাকা নিত। তবে সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকা চেয়ে বসে। ব্যবসায়ী তা দিতে রাজি হননি। বরং যুবতীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন ব্যবসায়ী। বিষয়টি একবারেই পছন্দ হয়নি যুবতীর। সে দু’জন বাউন্সার ভাড়া করে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ীর অফিসে গিয়ে তাকে মারধর করে। এমনকী ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানের একটি ফ্ল্যাটে আটকে রাখে।
অভিযোগ, ব্যবসায়ীকে নগ্ন করে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। মারধর করা হয়। এরপর চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় একটি এটিএম বুথে। সেখান থেকে অভিযুক্তদের ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন ব্যবসায়ী। তাতেও অবশ্য মুক্ত মেলেনি। ক’দিন পর তারই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যবসায়ীকে। সে সময় তার স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। আলমারি থেকে ২ লাখ টাকা ও বেশকিছু সোনার গয়না অভিযুক্তদের দেন ব্যবসায়ী।
পুলিশ সূত্রে খবর, এর তিন দিন পর ব্যবসায়ী মুক্ত পান অভিযুক্তদের হাত থেকে। যদিও এরপরেই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জনাকে সহযোগিতা করেছে যে দুই বাউন্সার, তারা হলেন অজয় যাদব ও ফোরেমান সাইনি। সঞ্জনা রাঠোর-সহ তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন