চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুর নতুন হটস্পটে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার। উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়শিবিরগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৩ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও ডেঙ্গু-পরবর্তী নানা জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে এক স্কুলশিক্ষার্থীসহ ২২ রোহিঙ্গার। পরিস্থিতি সামাল দিতে সচেতনতার পাশাপাশি প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের বালুর মাঠে কর্মরত এপিবিএন সদস্য শফিকুল ইসলাম। গত ৪ দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। চিকিৎসাসেবা পেয়ে অনেকটাই সুস্থ তিনি। ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএনের আরও ৩ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন একই হাসপাতালে।
কক্সবাজার উখিয়া ১৪ এপিবিএন এএসআই মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সদর হাসপাতালে আমরা ৪ জন ভর্তি আছি।
স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গারাও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সিট না পেয়ে অনেকেই মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে বাসায় চিকিৎসা না নিয়ে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আশিকুর রহমান।
আশ্রয়শিবিরগুলোতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তে সংখ্যা বাড়ছে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, আশ্রয়শিবিরে জমানো পানির পরিমাণ বেশি। সেখানের মানুষজন এডিস মশা নিয়ে সচেতন নয়।
চলতি বছর কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭২৪ জন। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ১১ হাজার ১৩৬ জন ও স্থানীয় বাসিন্দা ৫৮৮ জন।