রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তা হিতে বিপরীত হচ্ছে বলে মনে করছে রাশিয়া। বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া ঝারখোভা এ কথা বলেন।
ঝারখোভা বলেন, বহু বছর ধরে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা প্রচার করছে, ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতেই এসব অস্ত্র সরবরাহ করছে মার্কিন সরকার।
তিনি আরো বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ভয়াবহভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ। কারণ, বাস্তবিক অর্থে তাদের এ সহায়তা যুদ্ধকে আরো দীর্ঘায়িত করছে। যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে তত দেশটি ধ্বংস হবে। য়াশিংটন আসলে এ সংঘাতকে জিইয়ে রাখতে চায়, যা আখেরে ইউক্রেনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে।
ঝারখোভা বলেন, ইউক্রেনকে একটি যুদ্ধের মহড়াক্ষেত্র ও মার্কিন অস্ত্র প্রদর্শনীর এলাকা হিসেবে বিবেচনা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ইউক্রেনের অনেক লোক।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরোপিয়ান অ্যান্ড ইউরেশিয়ান অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপমন্ত্রী ক্যারেন ডনফ্রিড এক ব্রিফিংয়ে জানান, চলমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিফিংয়ে ডনফ্রিড বলেন, রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনের জনগণকে রক্ষায় যতদিন সম্ভব আমরা দেশটিকে সহায়তা দেব।
মঙ্গলবার ডনফ্রিড ওয়াশিংটনের অবস্থান জানানোর পরদিন মঙ্গলবার এ ইস্যুতে মস্কোর অবস্থান স্পষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানালেন ঝারখোভা।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্য থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ইউক্রেন। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটিতে বসবাসরত সংখ্যালঘু রুশ-ইউক্রেনীয়দের মধ্যে জাতিগত দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ দ্বন্দ্বে নিজেদের শক্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয় ইউক্রেন