বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

মৌশাইরে নির্মাণাধীন ভবনের সানসেড ধ্বশ! রাজউক কর্তৃপক্ষ নিরব

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ১১৩ বার পঠিত

 মাসুদ পারভেজ :  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দক্ষিণ খান থানাধীন মৌশাইর মৌজা ৫৮৫ নং নির্মাণাধীন ৯ তলা ভবনের কাজে রাজউকের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করায় ২য় তলার সানসেড ভেঙে পরেছে।

এ গঠনায় ক্ষতিগ্রস্হ পাশের বাড়ির মালিক মীর কামরুজ্জামান গত ২২/১০/২০২২ ইং তারিখ দক্ষিণখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন জৈনক মোঃ কে এম তারেক আরো ১২-১৩ জনকে সাথে নিয়ে প্রায় বছর খানেক আগে ৯ তলা ভবনের কাজ শুরু করে। বর্তমানে ঐ ভবনের ৫ম তলার ছাদের কাজ শেষ হয়ে সাইডে গাথনির কাজ চলমান থাকলে ও ভবনের চার পাশে হিউম্যান সেফটির কোন ব্যবস্থা করে নি ভবন মালিক গন।

অভিযোগে আরো জানা যায় ভবন নির্মাণ নীতিমালার আলোকে কাজ না করায় এলাকার বাসিন্দারা হুমকির মুখে পরেছে বিধায় তারা ভবন মালিকদেরকে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা কর্নপাত করেনি। গত ২২শে অক্টোবর বুধবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটের সময় নির্মাণাধীন ৯ তলা ভবনের ২য় তলার প্রায় ১৫ ফিট লম্বা একটা অংশ হঠাৎ ভেঙে ভবনে ঝুলে থাকতে দেখে পাশের বাড়ির টিনসেডে বসবাসকারী ভাড়াটিয়া লোকজন ভয়ে ছুটাছুটি করা শুরু করেন।

তাদের এহেন ভয়ের কারণ জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মর্জিনা জানান ২০/২৫ দিন আগে তার স্বামী লেকমান বাসা থেকে বের হয়ে কাজে যাবে এমন সময় ঐ ভবনের উপর থেকে একে একে অনেক গুলো স্টিলের সীট, ইটা পাথা নিচের দিকে পরতে থাকে একটা সীট আমার স্বামীর গায়ে পরে তার পরনের জামা ছিড়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

তারা আরো জানায় প্রতিদিন ছাদের উপর থেকে দিনে এবং রাতে তাদের টিনসেড ঘরের উপর ইটা পাথর সিমেন্ট এবং কাঠ বাঁশের টুকরা পরে। এ ভয়ে তারা সারারাত ভয়ে অস্থির থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মৌশাইর আবাসিক এলাকায় প্রায় ৭ কাঠা জমিনের উপর ৯ তলা ভবনের রাজউক প্লান নিয়ে কাজ শুরু করার পর থেকে তারেক গং নির্মাণাধীন ভবনের বাহিরের কোন অংশে মিনিমাম সেফটির ও ব্যবস্থা করে নি। তা ছাড়া বিল্ডিং কোড নীতিমালা অনুযায়ী ভবনের চারপাশে জায়গা না রেখেই নিজেদের মনগড়া ভাবে কাজ করেছে। এ বিষয়ে ভবন মালিক তারেক কে তার মোবাইলে না পেয়ে অপর অংশীদার ও উক্ত ভবনের কন্ট্রাক্টর নাহিদ জানান ভবনের বাহিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সকল মালামাল এনেছি, সময়ের অভাবে লাগাতে পারিনি।তার কাছে ঠিকাদারি কাজের বৈধ কাগজপত্র চাইলে তিনি দেখাতে পারেন নি।

সানসেডের একাংশ হঠাৎ ভেঙে পরার কারণ হিসাবে সাইট ইন্জিনিয়ার ইয়াকুব বলেন তিনি কিছু জানেন না।

 

এলাকাবাসি জানান রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় ভবন মালিকগণ প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে ভবন নির্মাণ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অযৌগ্য ঠিকাদার এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে এই ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আশংকা করছেন এই ভবনের অন্যান্য অংশ যে কোন সময়ে ঝরে পড়ে রাস্তায় খেলা করা ছোট ছোট শিশু, পথচারী সহ পাশের বাড়ি ঘরের ক্ষতি হতে পারে। এলাকাবাসীর দাবি যেহেতু এটি একটি আবাসিক ভবন এবং ঘনবসতি এলাকা, সেহেতু এই নির্মাণাধীন ৯ তলা ভবনটি বুয়েটের ইন্জিনিয়ার দিয়ে থিকনেস পরীক্ষা করে কাজ শুরু করা হউক।যতক্ষন পযর্ন্ত বুয়েটের ইন্জিনিয়ার দ্বারা পরীক্ষা না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে এমনটা বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সরেজমিনে আরো দেখা যায় মৌশাইর ৪৪৪ নং অবঃ বিমান বাহিনী অফিসার জৈনক মোজাম্মেল হকের ” অবসর” ভবনসহ আরো কয়েকটি নির্মাণাধীন ৯তলা ভবন ও চালাবন হাজী পড়া সেলিমের বাড়ীর নির্মাণ নীতিমালা মানা হচ্ছে না।

এলাকা বাসির দাবী তারা রাজউক অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে দেদারসে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।

No description available.

মৌশাইর এলাকায় ভবনের একাংশ ধ্বসে পরার বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিবেন এবং এ গুলো দেখার দায়িত্ব কার এমন প্রশ্নের জবাবে ঐ এলাকার দায়িত্বে থাকা রাজউকের ভবন পরিদর্শক পারভেজ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহিত কথা বলেন বলে এড়িয়ে যান। রাজউক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উত্তরখান এবং দক্ষিণ এলাকায় নিয়মবহির্ভূত ঝুঁকি পূর্ণ ভবন তৈরি এবং এগুলো তদারকির দায়িত্ব কার এই প্রশ্নের জবাবে উত্তরা জোন -২ এর অথরাইজড অফিসার সরদার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান এ ধরণের অনিয়ম বিষয়ে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com