নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ৩৭ লাখ টাকার বেশি বকেয়া বিল পাচ্ছে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। একাধিকবার অনুরোধের পরও বিপুল পরিমান বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় জাহাঙ্গীরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহম্মদ শাহীন রেজা ফরাজীর দেয়া নোটিশে জাহাঙ্গীরের কাছে বকেয়া ৩৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৭০ টাকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
ঘরোয়া আলোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করে গত অক্টোবরে আওয়ামী লীগের পদ হারান মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই বছরের ১৯ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয় তাকে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ তাকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করেছে মর্মে চিঠি দেয়।
আওয়ামী লীগ থেকে বরিষ্কার ও মেয়রের পদ খোয়ানোর আগেই ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক। দর্নীতি বিরোধী সংস্থাটির গঠিত অনুসন্ধান টিম গাজীপুরের নগর ভবন, ব্যাংক ও পোশাক কারখনাসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে অনুসন্ধান চালায়।
পল্লী বিদ্যুতের নোটিশে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন একটি চারতলা ভবনে ১১টি মিটারের বকেয়া বিলের পাশাপাশি মিটারবিহীন সরাসরি বিদ্যৎ ব্যবহারে এই পরিমান বিল বকেয়া পড়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিরীক্ষা পরিদপ্তরে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে বকেয়া বিল জরুরি ভিত্তিতে পরিশোধের কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন ওই ভবনের মিটারগুলো তার নামে ইস্যু করা নয়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ভবনটি ২০২০ সালে কিনেছি। এছাড়া মিটারগুলোও আমার নামে ইস্যু করা নেই। আগের মালিকের জরিমানা আমাকে কেন দিতে হবে?’ এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেও দাবি জাহাঙ্গীরের।
তবে বকেয়া বিল পরিশোধে জাহাঙ্গীর আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী যুবরাজ চন্দ্র পাল। বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে বকেয়া টাকা না দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে বকেয়া বিলের বিষয়টি মন্ত্রণালয় অবহিত বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহম্মদ শাহীন রেজা ফরাজি।