ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে ভূমিকম্পের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তুরস্কের বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত রয়েছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের জীবিত কিংবা মৃত উদ্ধারের আশায় ভিড় করছেন স্বজনরা।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৪২ জন মারা গেছেন। আর সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ মানুষের। দেশটিতে আহত হয়েছেন ১২ হাজারের বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংস্তূপের মধ্যেই তুরস্কের হাতাই প্রদেশে ‘লাল বেলুন’ টাঙানোর কাজ করতে দেখা যায় একদল স্বেচ্ছাসেবীকে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয় তুরস্ক। হতাহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। মূলত, ভূমিকম্পে নিহত শিশুদের স্মরণেই এমন পদক্ষেপ ওই স্বেচ্ছাসেবক দলের।
ভূমিকম্পের প্রায় দুই সপ্তাহ পর এসেও তুরস্কে এখনও জীবিত কিংবা মৃত উদ্ধারের আশায় কিছু কিছু এলাকায় ধ্বংস্তূপের নিচে অব্যাহত রয়েছে উদ্ধার অভিযান। নিখোঁজ প্রিয়জনদের জীবিত না হোক, অন্তত মরদেহ পাওয়ার ক্ষীণ আশায় এখনও ভিড় করছেন বেঁচে যাওয়া স্বজন ও গৃহহীন মানুষেরা। মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের ঝাঁকুনিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে তুরস্কের বিভিন্ন প্রদেশ। তবে স্থানীয়দের আশা, সবাই মিলে হয়তো একদিন এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা।
এদিকে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিধ্বস্ত তুরস্ক সফরে যান যুক্তরাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিশেল। তুরস্কে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল ঘুরে দেখেন তিনি। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭শ’র বেশি মানুষকে এই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
একইদিন সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকার হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিদর্শন করে জাতিসংঘের ইন্টারএজেন্সি মিশন।