গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গীতে সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৫৭ নং ওয়ার্ডে নৌকার নির্মাণাধীন কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকারের কর্মী-সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে হাজীর মাজার বস্তি এলাকার হোন্ডা রোডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে এক নারীসহ দুইজন নৌকার সমর্থক আহত হন।
এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নির্বাচনি ব্যানার ছিঁড়ে, কাঠের তৈরি নৌকা প্রতীক ভেঙে ফেলা হয়, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং কার্যালয়ে লাগানো শামিয়ানা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
আহতরা হলেন- মাজার বস্তি এলাকার সাগর (২৪) ও আয়েশা (২০)। আহতদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বস্তি এলাকার রফিকুল ইসলাম ও অন্য বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে ওই এলাকায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী গিয়াস উদ্দিন সরকারের কর্মী-সমর্থকরা গিয়াস উদ্দিন সরকার ও বিএনপি অনুসারী মেয়র প্রার্থী শাহনুর ইসলাম রনি সরকারের পক্ষে ভোট চেয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এ নিয়ে নৌকা সমর্থক রফিকের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন সরকারের সমর্থক স্থানীয় বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান ডুবলীর নির্দেশে মেহের, খোকন ও আছান নির্মাণাধীন নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাংচুর চালায় ও দুজনকে মারধর করে আহত করে।
এ সময় আমিনুল ইসলাম স্বপন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, নুর মোহাম্মদ, মোমেন, বিল্লাল, রুবেলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কয়েকজনকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আহত আয়শা বলেন- গিয়াস উদ্দিন সরকারের লোকজন আমার ভাই সাগরের ওপর হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে তারা আমার ওপরও হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার গলায় ও মাথায় আঘাত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী গিয়াস উদ্দিন সরকার বলেন, তারা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান জানান, থানায় অভিযোগ হয়েছে কিনা বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।