ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে তিন তরুণ ক্রিকেটারকে ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলে দেখতে চান দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। যেখানে সবচেয়ে বেশিবার নাম আসছে যশস্বী জয়সওয়ালের। রাজস্থান রয়্যালসের এই ওপেনারের কথা বলেছেন সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী ও সুনীল গাভাস্কার।
আইপিএল ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রমাণের প্ল্যাটফর্ম। এখানে পারফর্ম করে অনেকেই ডাক পান জাতীয় দলে। এবারও বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সবার। যাদের সবাইকেই আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে দেখতে চান ভারতের সাবেকরা।
আইপিএল শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। ২৮ মে হবে ফাইনাল। এরপরই শুরু জাতীয় দলের ব্যস্ততা। এ বছরই আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১১ সালের মতো নিজেদের দেশে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের ট্রফিটা দেশেই রেখে দিতে চাইবে ভারত। যার জন্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড কেমন হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে আইপিএলে পারফর্ম করা ক্রিকেটারদের প্রাধান্য তো থাকতেই পারে।
আইপিএলের ১৬তম আসরে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন ভারতের তরুণ ক্রিকেটাররা। জয়সওয়াল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিংকু সিং ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তিলক ভার্মারা ধারাবাহিকভাবেই রান করে যাচ্ছেন। এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার জন্য তাদের সবাইকে প্রস্তুত মনে করেন শাস্ত্রী।
শাস্ত্রী বলেন, ‘তিনজনই দারুণ ছন্দে আছেন। তাদের মধ্যে রানের ক্ষুধা আছে। রিঙ্কুর মানসিকতা খুব ভালো। কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে পারে। ভালো ফিনিশার হবে ও। আর জয়সওয়াল এ মৌসুমে যা খেলছে, তার জন্য দলে নেয়া জরুরি। গত কয়েক মৌসুমে সে নিজের খেলায় যেভাবে উন্নতি করেছে, তা সত্যি চোখে পড়ার মতো। ভারতীয় দলে বাঁহাতি ব্যাটার কম। বাঁহাতি ব্যাটার হিসেবে তিলককেও দলে নেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া মিডল অর্ডারে সে ভালো খেলছে। ম্যাচ শেষ করে আসার দক্ষতা আছে।
গাভাস্কার বলেন, ‘আমার মনে হয় সে প্রস্তুত। তাকে এখন দলে সুযোগ দেয়া উচিত। একজন খেলোয়াড় যখন ফর্মে থাকে তখন সুযোগ পেলে তার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। তার পারফরম্যান্স আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
প্রসঙ্গত, এবারের আসরে নামের পাশে ৬২৫ রান নিয়ে জয়সওয়াল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক। রিংকু সিং ১৪৯.৫৩ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৪৭৪ রান। তিলক ৯ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেছেন ২৭৪ রান।