বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ, টেকসই, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আসিয়ান নেতা ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আরো শক্তিশালী ও কার্যকর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ৩০তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামে (এআরএফ) এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে তিনি নেতৃত্ব দেন।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, সম্মেলনে চলতি বছরের থিম ‘আসিয়ান ম্যাটারস: এপিসেনট্রাম অব গ্রোথ’-এর প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে আস্থা বাড়ানোর জন্য আঞ্চলিকতা ও বহুপাক্ষিকতায় জোর দেওয়ার পাশাপাশি আসিয়ানকে কেন্দ্রীয়ভাবে শক্তিশালী করার দৃঢ় ও কার্যকর প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী। কার্যকর কোভিড ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, টেকসই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান উল্লেখ তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’-এর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির ওপর জোর দেয় বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এলডিসি থেকে কার্যকরভাবে স্নাতক হওয়া, এসডিজি অর্জন, জ্ঞান-ভিত্তিক উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত হওয়া এবং সময়মতো একটি সমৃদ্ধ ও জলবায়ু-সহনশীল ব-দ্বীপ গড়ে তোলার জন্য অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া সম্মিলিত নিরাপত্তা, শান্তি ও ভাগাভাগি সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এআরএফ কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন ড. মোমেন। আগামী সম্মেলনে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের প্রার্থীতার জন্য সক্রিয় সমর্থনও চান তিনি।
এবারের সম্মেলনে ২৭টি এআরএফ সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ৩০তম এআরএফের চেয়ার রেতনো এলপি মারসুদির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।