কুমিল্লায় যুবলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির বেলঘর উত্তর ইউপি সাধারণ সম্পাদক মফিজ মিয়ার বাড়ির উঠান বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে লালমাই থানার উন্দানিয়া গ্রামে বিএনপির বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মফিজ মিয়ার বাড়িতে উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে দলটির সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগের উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ সময় লালমাই উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা বিএনপির বৈঠকে হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হন।
সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক বিএনপি কর্মী বলেন, আমরা প্রোগ্রামের জন্য চেয়ার-টেবিল ঠিক করছিলাম। এ সময় তারা হঠাৎ এসে হামলা করে, গুলি চালায়।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আরেকজন বলেন, প্রথমে আমাকে একটা পোপ দেয়। কোপটা আমি হাত দিয়ে ঠেকাই। পরে একটা ছেলে একদম কাছ থেকে আমার পায়ে গুলি করে।
এদিকে, একই সময় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের কর্মীদের দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে বলে জানান দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো: কামরুল হাসান শাহিন।
তিনি বলেন, তারা হামলা করে আমাদের প্রায় দশ বারোজনকে আহত করে। আহতরা এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওরা অনেক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তাদের কাছে অনেক অবৈধ অস্ত্র আছে। আমরা অবশ্যই মামলা করবো এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাবো।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।