অবশেষে ভারত বিশ্বকাপের ভিসা জটিলতার অবসান হয়েছে পাকিস্তানের। আইসিসির কাছে অভিযোগ জানানোর ঘণ্টাখানেক পরেই ভারতের সরকার পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ভিসা মঞ্জুর করেছে বলে নিশ্চিত করেছে আইসিসি। আগামী শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গা গরমের ম্যাচে হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যান ইন গ্রিন। দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ ৩ অক্টোবর, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
বিশ্বকাপকে ঘিরে উদ্ভট পরিস্থিতি পাকিস্তান শিবিরে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে সরাসরি ভারতে যাবার সুযোগ নেই ম্যান ইন গ্রিনদের। দুবাই ঘুরে যেতে হবে বিশ্বকাপ ভেন্যুতে। অথচ সেই সফরই কিনা ঝুলে ছিল ভিসা অনিশ্চয়তায়।
২৯ তারিখ প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। হায়দরাবাদে দর্শকশূণ্য স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গা গরম করবে পাকিস্তান। অথচ সে ম্যাচের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে এই ভিসা মঞ্জুর করেছে ভারত সরকার। বিশ্বকাপের আগে আরব আমিরাতে গিয়ে দলীয় সংহতি বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল পাকিস্তান দল। কিন্তু ভারত ভিসা দিতে দেরি করায় আগেই সে পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট।
দলের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে, দুবাইতে দুইদিনের একটা ক্যাম্প করার পরিকল্পনা ছিলো ম্যান ইন গ্রিনদের। ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর এই টিম বন্ডিং সেশনের প্ল্যান ভেস্তে গেছে। যদিও অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ভিসা নিশ্চিত করার কথা ছিলো আরো আগে। আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতের এমন কর্মকাণ্ড চুক্তির লঙ্ঘন নয় কেন, সে প্রশ্ন তুলেছে পিসিবি।
পিসিবি মুখপাত্র উমর ফারুক বলেন, ‘হতাশার বিষয় যে, এধরনের বড় টুর্নামেন্টের আগে পাকিস্তান দলকে এমন অনিশ্চয়তার ভেতর থেকে যেতে হচ্ছে। বিগত ৩ বছর ধরে তাদের এ বিষয়ে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ শেষ পর্যন্ত এটা আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচের ২ দিন আগে এসে থেমেছে। আমরা আগের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। এখন আবার নতুন করে কাজ করতে হবে, নতুন ফ্লাইট ভাড়া নিতে হবে, যদিও সবকিছুই ভিসা পাওয়ার ওপরে নির্ভর করছে।’
গেল এক দশকে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাঠে নামেনি এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের মাটিতে কোন ম্যাচ খেলারও অভিজ্ঞতা নেই বাবর আজমের দলের। লম্বা সময়ের বিরতি কাটিয়ে ৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান।