আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। শুধু বুধবারই (৬ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) খাদ্যপণ্যটি দর হারিয়েছে ৭ শতাংশের বেশি। এতে ভোগ্যপণ্যটির মূল্য গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। পাশাপাশি আরেক বৃহৎ রফতানিকারক ভারত খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন বাড়াতে যাচ্ছে। এমনটি হলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ বাড়বে। এই প্রত্যাশায় ভোগ্যপণ্যটির ব্যাপক দরপতন ঘটেছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে আইসিই’তে আগামী মার্চের অপরিশোধিত চিনির মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২৩ সেন্টে। গত জুলাইয়ের পর যা সর্বনিম্ন। গত ১ ডিসেম্বর পাউন্ডপ্রতি দাম ছিল ২৫ দশমিক ০৯ সেন্টে।
একই কর্মদিবসে আসছে মার্চের সাদা চিনির দর কমেছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৪৩ ডলার ৬০ সেন্টে। বিগত ৫ মাসের মধ্যে তা সবচেয়ে কম। গত ১ ডিসেম্বর যা ছিল ৬৯৬ ডলার ৮০ সেন্ট।
বিক্রেতারা বলছেন, ব্রাজিলের মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হতে পারে। এমন আভাসে বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা কমে গেছে।
তারা উল্লেখ করেন, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ব্রাজিলে ৪১ দশমিক ৫ থেকে ৪২ মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। আগে যে পূর্বাভাস ছিল ৩৯ মেট্রিক টন।
অন্যদিকে, ভারতে ইথানল তৈরিতে খরচ বেশি হচ্ছে। ফলে চিনি উৎপাদনে ঝুঁকছে দেশটি। নয়াদিল্লি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের খবরে চাপে পড়েছে চিনির বাজার।