মাগুরায় প্রেমের সম্পর্কের জেরে খুন হওয়া মারিয়া খাতুনের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় প্রেমিক শশী আহমেদ ও তার বাবা নবুয়াত আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা ওই গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, কয়েক মাস আগে শশী ও মারিয়া খাতুনের মধ্যে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তাকে হত্যা করে মরদেহ সদর উপজেলার গাংনালিয়া ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এদিকে, গত ১৫ নভেম্বর এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে সদর উপজেলার গাংনালিয়ায় কুমার নদের ব্রিজের নিচে কচুরিপানার মধ্যে থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। পরে পোশাক ও ঘড়ি থেকে মারিয়ার স্বজনরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণ পায়। মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে ওই দুইজন জড়িত থাকায় তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সদর থানার ওসি শেখ সেকেন্দার আলী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। তবে পুলিশকে শশী জানিয়েছেন, মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নদীর তীরে শশী ফেলে রেখে যান।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার এস আই আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত মারিয়ার সঙ্গে শশী আহমেদের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে মারিয়া শহরের আদর্শ পাড়ায় আমির খসরুর বাড়িতে শশীর ভাড়া করা কক্ষে আসা যাওয়া করতেন। এরই এক পর্যায়ে অজ্ঞাত কারণে শশী মারিয়াকে হত্যা করেন। পরে বাবার সহযোগিতায় তার মরদেহ তোষক দিয়ে মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যান।
তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো রহস্যজনক। অভিযুক্তদের রিমান্ড আবেদন করা হবে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।