ঢালিউডের এক সময়ের ব্যস্ত অভিনেতা মাহমুদ কলি। নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো বন্ধ করে দেন তিনি। সেই মাহমুদ কলি এবার চর্চায়। শুধু চর্চায় নয়, জোর চর্চায়। কারণ তাকে সভাপতি করে শিল্পী সমিতির প্যানেল সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচন প্যানেল গোছানোর কাজ নিয়ে শিল্পীরা তোড়জোড় শুরু করেছেন বহু আগে থেকেই। ডিপজল-মিশা সওদাগর এক হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা আগেই এসেছে। বাকি ছিলো নিপুণের সভাপতির নাম ঘোষণার। আজ সে ঘোষণাও আসলো। নিপুণদের সভাপতি হয়ে নির্বাচন করবেন চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের অভিনেতা মাহমুদ কলি।
রোববার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে এফডিসির শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শিল্পী সমিতির সদস্যরা। এসময় নিপুণের পাশেই ছিলেন অভিনেতা মাহমুদ কলি। সন্ধ্যার পর শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে নিজের প্যানেলের সভাপতির নাম ঘোষণা করেন নিপুণ।
এসময় মাহমুদ কলি বলেন, ১৯৮৪ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি গঠনের সময় থেকে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলাম। অতীতে অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র, শিল্পীসহ শিল্পী সমাজের পাশে আমি ছিলাম। এছাড়া অতীতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে আমি জয়ী হয়েছিলাম। সেই সময়ও আমার সাধ্যমত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে আমি অভিনয় থেকে দূরে আছি- তার মানে এই নয় যে শিল্পী সমিতি বা শিল্পী সমাজ থেকে আমি দূরে আছি। আজ আমি এখনে এসেছি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে থেকে এই সমিতিকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে আমি দুইবার এই সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলাম। আবার এসেছি। চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠন ও সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক করে দেশের সিনেমাকে এগিয়ে নেওয়াই হবে আমার মূল লক্ষ। এছাড়া সমিতির পদ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তার সমাধান চাই। জানি আমাদের অনেককিছু সীমিত, সেটা নিয়ে ভায়ের কিছু নাই। যা আছে তাই নিয়ে সিনেমার উন্নয়নে কাজ করবো।
এর আগে সন্ধ্যায় শিল্পী সমিতিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ কলি, নিপুণ আক্তার, অঞ্জনা, কাজী হায়াৎ, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ অনেকে।