বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে রাতে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরো ৫০ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ৬৮ জন। এ নিয়ে ৩ দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ৮৪ জন সেনা-বিজিপি সদস্য।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, এর আগে মঙ্গলবার সকালে (১৬ এপ্রিল) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন আশ্রয় নেন। এরপর দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে আরো ১ জন আশ্রয় নেন। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে আশ্রয় নেন আরো ৫ জন।
সবশেষ রাত ১১ টার দিকে সীমান্ত পিলার ৪৪ এবং ৪৫ দিয়ে প্রবেশ করে আরো ৫০ জন। এ নিয়ে একদিনেই আশ্রয় নেন ৬৮ জন। এ ৬৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখনো বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তারা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছেন।
জানা গেছে, দেশটির অভ্যন্তরে বিজিপি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে টিকতে না পেরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল। তিনি জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ বিজিপির ১৭৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেয়া হয়েছিল।