সিটিজেন প্রতিবেদকঃ‘জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের যথাযথ বিচারের’ দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
জাতীয় সংগীতের পর দেশাত্মবোধক গান ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ পরিবেশন করা হয়। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মো. আমানুল্লাহ আমান, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাবিতে এটিই ছাত্রদলের সবচেয়ে বড় অবস্থান কর্মসূচি। বিকেল পর্যন্ত আজকের কর্মসূচি চলবে বলে জানান নেতারা।
কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যা, ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব, শাপলা চত্বরে রাতের অন্ধকারে অসংখ্য নিরীহ আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা, গত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে দানবে পরিণত করার মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নৃশংসতার মূল হোতা পলাতক খুনি হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের যথাযথ বিচারের দাবিতে আজ আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, কোটা আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছে। আমাদের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা সব ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার দাবি করছি। গত ১৫-১৬ বছরের সকল হত্যাকান্ডের, গুম, খুন নির্যাতনের বিচার দাবি করছি। আমরা চাই না নিরপরাধ আওয়ামী লীগের নেতাও শাস্তি পাক। আমরা চাই সত্যিকারের অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসুক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুন গিয়ে পড়ে থানার ওপর। দেশের সিংহভাগ থাকায় আক্রমণ করে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আন্দোলনে ৪২ জন পুলিশসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হন।