মাসুদ পারভেজ ঃ জাতীয় প্রেস ক্লাবে সদস্যপদের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দীর্ঘদিনধরে বঞ্চিত পেশাদার সাংবাদিকরা। সমাবেশ থেকে বঞ্চিত ও পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যপদ প্রদান এবং ভূয়া-অপেশাদার ও সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যায় উস্কানিদাতা সাংবাদিকদের সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন বক্তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে সদস্যবঞ্চিত প্রায় তিন শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনধরে আওয়ামী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি ছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব। এই সময়ে শতশত ভূয়া ও অপেশাদার লোকদেরকে সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। অথচ পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যপদের কোন সুযোগ দেয়া হয়নি। কিন্তু স্বৈরাচারের পতনের পর প্রেস ক্লাবের শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তনের ফলে এখন বঞ্চিত পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য করার সুযোগ এসেছে। একইসঙ্গে তারা ভূয়া ও অপেশাদারদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশ ও আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার কর্তৃক গণহত্যায় প্রকাশ্যে উস্কানিদাতা সাংবাদিকদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, স্বৈরাচারের দোসর এই সাংবাদিকরা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল, আর তাতে ব্যর্থ হয়ে তারা তৎকালীন সরকারকে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার উস্কানি দিয়েছিল। ফলে এদের সদস্যপদ বাতিল করতে হবে।
সমাবেশ থেকে নতুন সদস্যপদ প্রদান এবং ভুয়া ও উস্কানিদাতাদের সদস্যপদ বাতিলে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রদান করা হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র নির্বাহী সদস্য গাজী আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে এবং এম. মোশাররফ হোসাইনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)’র অর্থ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, ডিইউজে’র দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ ও প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম, নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, আবদুল্লাহ মজুমদার ও ফখরুল ইসলাম, ডিআরইউ’র নির্বাহী সদস্য শরীফুল ইসলাম, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাবেক প্রশিক্ষণ সম্পাদক মহসিন হোসেন ও সাবেক কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, ডিইউজে’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক ডি এম ওমর ও সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আল-আমিন, ডিএসইসি সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান, শামসুল হক বসুনিয়া, সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, এ এইচ কামরুল, আলী আশরাফ আকন্দ, এম এ মুনায়েম, সেলিম মিয়াজী, সরদার মতিন, সৈয়দ আখতার সিরাজী, ইউসুফ আরেফিন, ফজলুর রহমান জুলফিকার, এ এফ এম রাসেল পাটোয়ারী, মেজবাহ শিমুল ও আমিনুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন, গিয়াস উদ্দিন রাকিব, সায়ীদ আবদুল মালিক, তালুকদার বেলাল, জাকির হোসেন, এম এস দোহা, এনামুল হক তুহিন, এম আই ফারুক, ইলিয়াস হোসেন কাজী, গোলাম মাওলা মুন্না, রাসেল আহম্মেদ, জাফরুল আলম, ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, অরন্য গফুর, এ এম নাজিম, রাজিব সরকার, এম এম রহমতুল্লাহ, আকতার হোসেন, সায়ীদ মাহমুদ মামুন, নবিউল ইসলাম নয়ন, মাসুদ পারভেজ ও মেহেদী হাসান-সহ আরও অনেকে।