রুমানা রহমান ঃ উত্তরা জসিমউদ্দীন প্যারাডাইজ টাওয়ার “মার্গারিটা লাউঞ্জ উত্তরা” ব্যবসায়ীরা লক্ষীপুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এসময়, মার্গারিতা লাউঞ্জের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুম,ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম মর্তুজা, ভাইস-চেয়ারম্যান সাইমন খান ও পশ্চিম থানা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ সোয়েব উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও তাদের সাথে ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা উত্তরার কয়েক জন ছাত্রনেতাও উপস্থিত ছিলেন।মার্গারিতা লাউঞ্জ সুত্রে জানা যায়,তাদের গত এক সপ্তাহের বিক্রির ১০% পুরোটাই তারা বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন। ত্রাণ বিতরণ কালে তারা হাঁটু পানি দিয়ে হেঁটে হেঁটে ২-৩ কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেন।প্রতিবেদক-কে তারা জানান, লক্ষ্মীপুরে এমন এমন জায়গায় রয়েছে, যেখানে এখনো মানুষ কাংখিত ত্রাণ সামগ্রী পায়নি। এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, ঐ সব এলাকায় পানির চাপ বেশি থাকায় সাধারণ ভাবে সেখানে যাওয়া যায় না । তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসব দূর্গম এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেছেন।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত ১১ টি জেলায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।বন্যার পানি কমার সাথে সাথে বাড়ছে দুর্ভোগ।দূর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির রয়েছে তীব্র সংকট। বিশেষ করে টিউবওয়েল গুলো ডুবে যাওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। ফলে চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ নানান পানি বাহিত রোগ ও বাড়ছে। জানা যায়, গত ৩১ শে আগষ্ট শনিবার লক্ষীপুরের বন্যা কবলিত এলাকায় সহস্রাধীক খাবার পেকেট বিতরণ করে উত্তরার মার্গারিতা লাউঞ্জ।
গত ৩১ শে আগষ্ট শনিবার বার একঝাঁক তরুণ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াখালী চৌমুহনী চৌরাস্তা থেকে পশ্চিম দিকে লক্ষীপুর মহাসড়ক পশ্চিম জামির তলী বড় পুকুর পাড়, দিঘলী রোড,মান্দারী বাজার লক্ষীপুর এলাকায় প্রায় ১৫০০ (একহাজার পাঁচশত) লোকের মাঝে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবার বিতরণ করেন। এছাড়াও তারা বন্যার্তদের মাঝে বিভিন্ন ঔষধ, চিড়া,গুর,টেস্টি স্যালাইন,খাবার-পানি, মোমবাতি, দিয়াশলাই, ফিটকারী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণ করেন। এই টিমের সমম্বয়ক নাঈম মুর্তুজা বলেন, দেশের যে কোন দূর্যোগে তারা নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
ইতি পূর্বে ও তারা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে মিলে মিশে বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আরেক সমন্বয়ক মোঃ সাইমুন বলেন, করণা কালিন সময় থেকে শুরু করে গত কয়েক বছর যাবত তারা অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুম বলেন, আমরা অতীতেও দেশের যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানুষের পাশে ছিলাম , এখনো আছি, ভবিষ্যতে ও থাকবো ইনশাআল্লাহ।