বিশেষ প্রতিবেদক, সিটিজেন নিউজ: ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এমনটি মনে করার কারণ নেই। মৌসুমি আয়োজন দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হবে না। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সারা বছরের প্রস্তুতি থাকতে হবে। মশা ঠেকানোর আসল ওষুধ হলো জনসচেতনতা। ডেঙ্গু মোকাবিলা একটি লড়াই। সেই লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে এ আলোচনা সভা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের চলতি বছরের মার্চ মাসে তার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর বিএসএমএমইউ হাসপাতালের চিকিৎসার স্মৃতিচারণ করেন। ওই সময় এই হাসপাতালে যথাযথ, উন্নত, আন্তরিক ও দরদি মনের চিকিৎসাসেবা পাওয়ায় চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। অবুঝ শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, অবলা নারী কেউই খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। পলাশীর যুদ্ধের বিশ্বাসঘাতক সেনাপ্রধান মীরজাফরের মতোই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানও খুনিদের সহায়তা করেছিলেন, পুরস্কৃত করেছিলেন। তার এ অপকর্ম ও অপরাধের কারণেই তিনি নিজেও আরেক খুনিচক্র, বিশ্বাসঘাতকের হাতে নিহত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করা জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিও দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, দেউলিয়াপনা ও ষড়যন্ত্রকারীদের দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। শোকের মাস আগস্ট এলে ষড়যন্ত্রে তারা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
‘সব ইস্যুতে ব্যর্থ হয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভর করেছে বিএনপি’
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনের সব ইস্যুতে ব্যর্থ হয়ে এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভর করেছে। কিন্তু বাংলার জনগণ তাদের এই ষড়যন্ত্র কোনো দিন সফল হতে দেবে না। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার মাধ্যমেই বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উন্নয়ন ও অগ্রগতির রোলমডেলে পরিণত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান।