ক্রীড়া প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের বিশাল এবং অসম্ভব এক লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির আগে ৯ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৩০ রান করেছেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং লিটন দাস। দুপুর ১টায় লাঞ্চে যায় দুই দলের খেলোয়াড়রা।
এরই মধ্যে পূনরায় বৃষ্টি নামে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১.৪০ মিনিটে লাঞ্চ বিরতি শেষে খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে শুরু করা যায়নি। তবে, এ রিপোর্ট লেখার সময় বৃষ্টি কমে এসেছে। যদিও কাভার দিয়ে মাঠের উইকেট ঢাকা। লাঞ্চের আগে ২১ রান নিয়ে সাদমান এবং ৯ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন লিটন দাস।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তান অলআউট হলো ২৬০ রানে। শেষ দুটি উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তার আগে গতকালের সঙ্গে আরও ২৩ রান যোগ করেছে আফগান ব্যাটসম্যানরা। সব মিলিয়ে আফগানদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ রান।
বৃষ্টির কারণে আজ চতুর্থ দিনে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট বিলম্বে, ১১টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্টের খেলা। সাধারণ নিয়মে আজ খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০ মিনিট আগে, তথা ৯টা ৪০ মিনিটে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তান এগিয়েছিল ১৩৭ রানে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান সংগ্রহ করেছিল ৩৪২ রান। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গিয়েছিল ২০৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান আবারও তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়। স্কোরবোর্ডে তুলতে পারলো ২৬০ রান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে তাদের লিড দাঁড়ালো ৩৯৭ রানের।
প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন রশিদ খান। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ঘূর্ণির সামনে টাইগার ব্যাটসম্যানরা কতক্ষণ টিকতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।
চট্টগ্রামের এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে মাত্র ৩টি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৩১৭ তাড়া করে। তার আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৮৭ রান তাড়া করে এবং ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ১৬৩ রান তাড়া করে।
তবে চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত তাড়া করে জেতেনি কোনো ম্যাচেই। আফগানদের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে চট্টগ্রামে ৭ ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমেছিল বাংলাদেশ, এর মধ্যে ড্র হয়েছে ৩টি, হেরেছিল ৪ ম্যাচে।
চতুর্থ ইনিংসে এর আগে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড রয়েছে সর্বোচ্চ ২১৯ রান তাড়া করার। আফগানিস্তান তার চেয়ে ১৬৭ রান বেশি করে ফেলেছে। সুতরাং, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি কিংবা জহির খানদের ঘূর্ণি মোকাবিলা করে সাকিব আল হাসানরা কি পারবেন অসম্ভবকে সম্ভব করতে?
রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ২১৫ রান তাড়া করে জিতেছিল সাকিব আল হাসানের দল। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ জিতেছিল ১০১ রান তাড়া করে। ২০১৭ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯১ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা।