জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: এবার নির্দিষ্ট সময়ে ভোটার তালিকার হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকার প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়ে আইনটিই পাল্টে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
ইসি কর্মকর্তরা জানান, বর্তমানে ভোটার তালিকা আইনে রয়েছে- কম্পিউটার ডেটাবেইজে সংরক্ষিত বিদ্যমান সকল ভোটার তালিকা প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করে তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এবার আইন অনুযায়ী তা প্রকাশ করতে পারছে না ইসি।
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, এবার মনে হয় ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে না। শুনেছিলাম আইটির কোনো সমস্যা হয়েছিল। আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। এনআইডির মহাপরিচালক বিস্তারিত বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের মতো এবার ২ জানুয়ারিও ৩১ জানুয়ারি খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মনে হয় প্রকাশ করা হবে না। আমাদের পরিকল্পনা আছে ২০ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশ করে ১ মার্চ চূড়ান্ত তালিকে প্রকাশ করা হবে। এজন্য বর্তমান ভোটার তালিকা আইনের সংশোধন আনতে ইতোমধ্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এনআইডির কর্মকর্তারা জানান, এবারের হালনাগাদে (১৫-১৮ বছর বয়সী) চার বছরের তথ্য সংগ্রহ করছে ইসি। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এ রকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবার। এর মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৯০ লাখ ৬৬ হাজার ১০৫ জন নতুন নাগরিকের তথ্য নিবন্ধন করেছে ইসি। তবে খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় এ সংখ্যার কম বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি কর্মকর্তারা।