নিজস্ব প্রতিবেদক: সিটি নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের মাঝে নির্বাচনের আলোচনা ততই বাড়ছে। কার ভোট বেশী কে বিজয়ী হবে কাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে এসব বিষয় নিয়ে ডিএনসিসির ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটরদের আলেচনা করতে দেখা যায়। এদিকে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ প্রতিকে সমর্থন নেওয়ার চেষ্ঠা করছেন। ৫০ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দ্বিমুখি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যায় ।
বিএনপির সমর্থিত নাজিমউদ্দিন দেওয়ান বলেন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা আমার নির্বাচনী অফিষ বানাতে দেয়নি। আমার বাড়িতে অফিসে এসেও হামলা করেছে,আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। তবে কোন অবস্থায় নির্বাচনী মাঠ ছাড়বনা। আদর্শ ও মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সমর্থন নেওয়ার চেষ্ট করছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী দক্ষিণখান থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
ঘনবসতিপূর্ণ এই ৫০ নং ওয়ার্ড নানা সমস্যায় জর্জরিত। ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারীতে ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হয়। দক্ষিণখান থানার বড় একটি অংশ নিয়ে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। ওয়ার্ডের উত্তরে ৪৭নং ওয়ার্ড, দক্ষিণে আশকোনা হাজী ক্যাম্প, পশ্চিমে রেললাইন ও পূর্বে তুরাগ সিএনজি পাম্প। ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা সাড়ে ৩ লাখ ও ভোটার ৫২ হাজার ৬০০। ওয়ার্ডে ৪৩টি মসজিদ, ১৭টি মাদ্রাসা, অর্ধশত স্কুল-কলেজ ও একটি মন্দির রয়েছে।স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘসময়ের অবহেলিত জনপদের নাম ৫০ নম্বর ওয়ার্ড। বেশির ভাগ রোডে ড্রেন না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়।আমাদের ওয়ার্ডে খেলার মাঠ,সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত কাচাবাজার, হেলথকেয়ার কিছুই নেই।আমরা নগরায়নের সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত।
বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, এখানে একযুগেও তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সামান্য বৃষ্টিতে এ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। স্যুয়ারেজ লাইন ও রাস্তা ভালো নয়। মশার উৎপাত ও যানজট নিত্যসঙ্গী। এসব কারণে মানুষ রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারে না। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। মাদকে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারনে আজমপুর ও কসাইবাড়ি রেললাইনে যানজট লেগেই থাকে। নিষিদ্ধ করা হলেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়মিত চলছে। মাদক ও যৌন হয়রানি বন্ধে এলাকায় সিসিটিভি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাইট লাগানো প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে আমি এলাকার উন্নয়ন করে আসছি। জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমি দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী যদি নির্বাচন কমিশন তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করে আর আমি যদি কাউন্সিলর নির্বাচিত হই ৫০ নং ওয়ার্ডের নাগরিকদের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা সহ মাদকমুক্ত সমাজ গড়বো।