বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা–কাঠমুন্ডু রুটে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাঠমুন্ডু ফ্লাইট স্থগিত উত্তরায় খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া উত্তরখানে সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা নির্বাচনের ফল ম্যানিপুলেশনের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করবে: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদ ১৬ বছর বয়সীরাও পাবেন ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হতে পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীর মৃত্যু শেখ হাসিনার মামলায় ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

জয়পুরহাটে স্কুল যেতে পার হতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৩০৯ বার পঠিত

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী পার হয়েই স্কুল। সেই স্কুলেই পড়তে আসে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাইকপাড়া, গোবিন্দপুর, গঙ্গাদাসপুর ও কড়ই মালোপাড়ার শিশু শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন নদী পেরিয়ে আসতে হয় তাদের। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে স্কুলে যাতায়াত করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। পারাপারের জন্য স্থানীয়রা সেখানে বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে সাঁকো। আর সেই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। খরার সময় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করা গেলেও বর্ষায় ঝুঁকি বেশি থাকায় স্কুলে যায় না শিক্ষার্থীরা।

মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৭০ সালে। তুলশীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে পূর্ব তীরে অবস্থান স্কুলটির। স্কুলের উভয় পাশের ৮ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক শিশু পড়তে আসে এলাকার একমাত্র স্কুলটিতে। আমদই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহানুর আলম বলেন, খরার সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনও রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় প্রায় ৭ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত জানান, স্বাধীনতার পর এসব গ্রামে জনবসতি গড়ে ওঠে। সেই থেকে তারা নিজ উদ্যোগে নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়ায় করছে। গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরাও কষ্ট করে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল যাচ্ছে শিশুরা

মুরারীপুর গ্রামের গৃহবধু স্বপ্না বেগম ও কোহিনুর বেগম জানান, বর্ষায় তাদের ছেলে-মেয়েরা নদী পার হয়ে স্কুলে আসতে পারে না। অনেক সময় নদীতে পরেও যায়। ফেরদৌস ও রায়হান নামের দুই অভিভাবক বলেন, সেতুর জন্য বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও জানানো হয়েছে। উনি দেখতে আসবেন বলে জানিয়েও আর আসেননি।

মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরভী আক্তার বলে, বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে আসতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। পা পিছলে পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। চতুর্থ শ্রেণির ফারজানা ও পঞ্চম শ্রেণির শফিকুল ইসলাম জানায়, সাঁকো পার হতে তাদের ভয় লাগে। বর্ষার সময় তারা স্কুলেই আসে না।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সেতু নির্মাণের বিষয়টি উর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com