শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

টঙ্গীতে মোহাম্মদপুর থেকে আসা পরিবারকে বাসা ভাড়া দেওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৭৯ বার পঠিত

 মো: জাহাঙ্গীর আকন্দ, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি ঃ মরণব্যাধি করোনা ভাইসের কারণে সৃষ্ট লকডাউন ও সরকারি বিধি নিষেদ অমান্য করে টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আসা এক পরিবারকে ফ্লাট ভাড়া দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল শুক্রবার বাবুল নামে এক ভাড়াটিয়া আউচপাড়া মোল্লাবাড়ী রোডের বেলায়েত হোসেনের ৬তলা ভবনের ২য় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া বাসায় উঠলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী জানায়, ভাইরাসের কারণে আমরা নিজেরা স্কুল, কলেজ, বাজার, মসজিদ, এমনকি নিজ গ্রামের বাড়িতেও যেতে পারছি না অথচ লকডাউন চলাকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তারা টঙ্গীতে কিভাবে আসলো? আর কোন ধরনের টেষ্ট ছাড়া এরা বেতায়েত হোসেনের বাসায় কি করে ফ্লাট ভাড়া নিলো। এই ভাড়াটিয়া বাবুল ও তার পরিবারের মাধ্যমে যদি এখানকার লোকজনের মাঝে করোনা ভাইরাস ছড়ালে এর দায়ভার কে নিবে? এ বিষয়ে কথা বললে বাড়ীওয়ালা বেলায়েত হোসেন ভাড়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমি বাবুলের কাছ থেকে কোন করোনা ভাইরাসের টেস্ট করার কাগজ দেখি নাই। মিরপুর থানার ওসি ভাড়াটিয়া বাবুলের ভাই। সকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবারকে আমি ফ্লাট ভাড়া দিয়েছি। স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা ও টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তাদের নির্দেশেই আমি ফ্লাট ভাড়া দিয়েছি। বাবুল ও তার পরিবার আগামী ১৪ দিন ঘর থেকে বাইরে যাবে না। আমাদের প্রতিবেশী মিল্টন এ ১৪ দিন তাদের বাজার হাটসহ প্রয়োজনীয় সকল কিছু ফ্লাটে দিয়ে যাবে। অপরদিকে স্থানীয় বাড়ীওয়ালা মিল্টনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা থে আসা ভাড়াটিয়ার বিষয়টি আমার জানা আছে তারা ১৪ দিন ঘরের বাইরে যাবে না। তবে তাদের কোন দায়িত্ব আমি নেই নাই। ভাইরাসের কারণে আমি নিজেই বাড়ির বাইরে যাইনা। অন্যের বাজার সদাই বা কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। স্থানীয় কাউন্সিলর নাছির উদ্দিন মোল্লা সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে যে ভাড়াটিয়া এখানে এসেছে আমি প্রথমে তাদের ভাড়া দিতে নিষেদ করেছিলাম। পরবর্তিতে বাড়ীওয়ালা বেলায়েত হোসেন বলেছেন যেহেতু উনারা ফার্নিচার বাড়িতে তুলে ফেলেছেন ভাড়াটিয়া বেলাল বাড়িতে থাকুক। আমি ১৪দিন এদের বাড়ি থেকে বের হতে দিবোনা। বাজার সদাই যা কিছু প্রয়োজন আমরা এনে দিবো। তখন আমি পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হকের সাথে কথা বলে এদের থাকতে দেই। তবে ভাড়াটিয়ারা কার কি হয় এ বিষয়টি আমার জানা নাই। মানবিক বিষয় চিন্তা করে আমি তাদের থাকতে বলি। তানা হলে এদের যাওয়ার কোন যায়গা থাকতো না। এবিষয়ে কথা বললে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, ঢাকা থেকে আসা ভাড়াটিয়ার বিষয়টি আমার জানা আছে। কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন ভাড়াটিয়া বাবুল ও তার পরিবার ১৪দিন বাড়ির বাইরে যাবেনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com