ডেস্ক: মৃত বকুল পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। ভারতে প্রবেশের কারনে আটক হন বকুলসহ ২৬ জন। তবুও পরিবারের আশা ছিল বকুল ফিরবেন। কিন্তু সেই যাওয়া যে শেষ যাওয়া হবে সেখানে লাশ হতে হবে তা মেনে নিতে পারছে না বকুলের স্ত্রী সন্তান। তবুও তারা লাশটি চায়। চায় এক নজর দেখতে। বকুলের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসার সাথে বাকি পরিবারও আতঙ্কে রয়েছে। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা ব্যাপারী পাড়ার বেশ কিছু জেলে পেশা অবলম্বন ও ভারতে অবস্থান স্বজনদের সাথে দেখা করাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য বৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করে।
এর মধ্যে অনেকে ফিরে এলেও আটকা পড়ে ২৬ জন। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রভাব প্রখর আকার ধারন করে লকডাউনে আটক পড়ে তারা। ভারতে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন ছিল ৩মে। সেদিনেই চেংরাবান্ধা চেকপোষ্ট খুলে দেয়ার কথা শুনে তাঁরা আসামের জোড়হাটা থেকে ধুবড়ি রওনা দেন। পথিমধ্যে চাপোবৎ থানা পুলিশ তাঁদের আটক করে। তথ্য অনুযায়ী তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাদের ফিরে পাওয়ার দাবিতে আটক থাকাদের পরিবার একাধিকবার মানববন্ধন করেন বারবার কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু দিন কেটে মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি মুক্তি। স্বজনরা দিন কাটাচ্ছিলেন কষ্টে। এরই মধ্যে আটক থাকা বকুল মিয়া (৫৫) নামে একজনের মৃত্যুর খবর কষ্ট আর আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের। মৃত্যু বকুল মিয়ার স্ত্রী কাঁদছেন কিছু বলতে না পারলেও ফিরে চাচ্ছেন স্বামীর লাশ দেখতে একনজর। সন্তানরা দেখতে চান বাবাকে। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি ভারতে হাজতে আটক অবস্থায় বকুল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে আমরা তার লাশসহ আটক সকলকে ফিরে চাই। মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, বুধবার বকুল নামে একজনের হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জেনেছি এবং তার লাশ যেন পরিবার ফিরে পায় সেবিষয় চেষ্টা করা হচ্ছে। আরো দু’জন অসুস্থ রয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়।