দিনাজপুরের ধর্ষক মোস্তাফিজুর রহমান কানাডায় গিয়ে হয়েছে টিটো রহমান। কানাডা থেকে প্রচারিত নাগরিক টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তার নাম দেখানো হয়, এই আইপি টিভির মালিকানাও তার রয়েছে বলে জানা গেছে।
কিন্তু কে এই টিটো রহমান। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে এই টিটো রহমান হলেন আসলে মোস্তাফিজুর রহমান, তার বাড়ি দিনাজপুরে। দিনাজপুর জেলা স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন এরপর দিনাজপুর গভর্ণমেন্ট কলেজে পড়েছেন এবং সেই দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতক পড়ার সময় এক শিক্ষার্থীকে তিনি ধর্ষণ করেন। এ ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তার বিচারও হয়েছিল। তারপর বিএনপি`র আনুকূল্যে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান এবং পালিয়ে কানাডায় আসেন। এখন তিনি মোস্তাফিজুর রহমান নাম পাল্টে নিজেকে টিটো রহমান নামে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে যে সাইবার যুদ্ধ চলছে সেই সাইবার যুদ্ধের অন্যতম একটি হলো নাগরিক টিভি। এই টেলিভিশন চ্যানেলটিতে এখন টার্গেট করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুৎসিত, নোংরা এবং অবাস্তব তথ্য পরিবেশন করায় এই টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান কাজ হয়েছে।
এর মধ্যে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই টেলিভিশনটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন এবং টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রী ও সরকার সম্পর্কে যে সমস্ত আপত্তিকর, নোংরা কথাবার্তা বলা হয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরকম প্রেক্ষিতে টিটো রহমান সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোস্তাফিজুর রহমানের পুরো পরিবার স্বাধীনতাবিরোধী পরিবার, তার দাদা একাত্তরের ঘাতক ছিলেন, বাবা ছিলেন ছিঁচকে রাজাকার। আর মোস্তাফিজুর রহমান ছোটবেলা থেকেই বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্ট লোকদের সঙ্গে উঠাবসা করতেন। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে মোস্তাফিজুর রহমান দিনাজপুরে একজন মাদকসেবী এবং নারী নিপীড়ক হিসেবে পরিচিত ছিল। ইভটিজিং এর জন্য একাধিকার মোস্তাফিজুর রহমান শাস্তি পেয়েছিল। আর সর্বশেষ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ার সময় এক শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে টিটো রহমানকে বহিষ্কার করা হয়, পরে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বিএনপি’র প্রভাবের কারণে সেই মামলাটি বেশিদূর এগোয়নি। বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন খুরশীদ জাহান চকলেটের সঙ্গে দেখা করেন মুস্তাফিজুর রহমানের পিতা এবং খুরশীদ জাহান চকলেটের আনুকূল্যেই শেষ পর্যন্ত কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন এই মোস্তাফিজুর রহমান। অবশেষে বেগম খালেদা জিয়ার আনুকূল্যে তিনি কানাডায় যান, আর এখন খালেদা জিয়া, প্রয়াত খুরশীদ জাহান চকলেট এবং তারেক জিয়ার ঋণ শোধ করছেন এই মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে টিটো রহমান।
টিটো রহমানের প্রধান কাজ হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং বাংলাদেশ সম্পর্কের কুৎসিত, নোংরা, আপত্তিকর কথাবার্তা বলা। শুধুমাত্র সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধেও মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে টিটো রহমান অপপ্রচার করছে কিন্তু তার মূল লক্ষ্য হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কিত করা। কিন্তু কানাডা প্রবাসীরাই বলছেন যে মোস্তাফিজুর রহমানের এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যে কানাডায় বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।