পাকিস্তান ‘শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি’ থেকে খুব বেশি দূরে নয় বলে সতর্ক করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।
শনিবার (২৩ জুলাই) এক টুইট বার্তায় এ সতর্কতা দিয়ে ইমরান বলেন, এমন সময়ও খুব বেশি দূরে নয় যখন জনসাধারণ আসিফ জারদারি ও শরিফ পরিবারের নেতৃত্বাধীন ‘মাফিয়াদের’ বিরুদ্ধে ‘হাকীকী আজাদীর’ জন্য রাজপথে নেমে আসবে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
ইমরান খান আরও বলেন, ‘আসিফ জারদারি এবং শরিফ পরিবারের নেতৃত্বাধীন মাফিয়ারা তাদের অবৈধভাবে সঞ্চিত সম্পদ বাঁচাতে মাত্র তিন মাসের মধ্যে দেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে নতজানু করে ফেলেছে। আমার প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আর কতদিন এর অনুমতি দেবে?’
জনগণ এই ‘মাফিয়াদের’ আর লুটপাট চালিয়ে যেতে দেবে না উল্লেখ করে দেশটির সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং আমার হাকীকী আজাদীর আহ্বানে তাদের প্রতিক্রিয়ার পর আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে আমাদের জনগণ যথেষ্ট বিরক্ত (বর্তমান সরকার নিয়ে)।’
‘আমরা শ্রীলঙ্কার মতো একটি পরিস্থিতি থেকে দূরে নই, যখন আমাদের জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে,’ বলেন ইমরান।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের উপ-নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই। এ জয়ের পরপরই আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান।
গত ১৭ জুলাই পাঞ্জাবের ২০টি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ২০টি আসনের চারটিই লাহোরে। সাধারণভাবে এ ধরনের নির্বাচন তেমন গুরুত্ব পায় না। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। এ নির্বাচনের ফলাফল পাঞ্জাবের এবং সেই সঙ্গে পুরো পাকিস্তানের রাজনীতির জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে।
পাঞ্জাবের ২০টি আসনের মধ্যে ইমরানের পিটিআই পেয়েছে ১৫টি আসন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে চারটি আসন। আর স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর দখলে গেছে ১টি আসন।
পিটিআইর এ জয়ের পর সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘এখান থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন। অন্য কোনো উপায় দেশকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আরও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার দিকে পরিচালিত করবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং পাঞ্জাবের মতো অন্যান্য অঞ্চলেও যদি পিটিআই ‘ভালো পারফরম্যান্স’ করে তাহলে আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইমরান খানের।