উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান নদী তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে সমঝোতা নিয়ে ঢাকা অনেকদিন ধরেই উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে এ বিষয়ে সুরাহা চায় বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিস্তা ইস্যুতে ভারতকে চাপ দেয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দীর্ঘ এক যুগ পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার জেআরসি বৈঠক নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ১২ বছর পরে বৈঠকটি আন্তরিক পরিবেশে সফলতার সঙ্গে হয়েছে। প্রতিবছর বৈঠক করার আশা ভারতের। দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি জানান, কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি পাবে বাংলাদেশ। ছয়টি নদীর পানিবণ্টন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও আটটি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া হিমালয় থেকে প্রবাহিত নদীর অন্তর্বর্তী নদীসংযোগ করবে না ভারত। বন্যার বিষয়ে ৫ দিন আগেই পূর্বাভাস জানাবে ভারত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেনী নদীর পানি মানবিক কারণে বণ্টনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। এছাড়া ভারত থেকে প্রবাহিত নদীগুলোর দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেবে দুই দেশ।
তিনি জানান, আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতের জলমন্ত্রী। প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিলে জেআরসি মিটিংয়ের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।