রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে মাদ্রিদের ক্লাবটির জয় ৫-২ গোলে। এ হারের সময় সিবিএস স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার কক্ষে ছিলেন লিভারপুলের সাবেক খেলোয়াড় জ্যামি ক্যারেগার। প্রিয় দলের হারে কেঁদে ফেলেন তিনি।
অ্যানফিল্ডে স্পেনের ক্লাবটির বিপক্ষে শুরুতে এগিয়েছিল লিভারপুল। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় ২-০ গোলের লিড নেয় তারা। অল রেডরা এগিয়ে যাওয়ার পর যারপরানই খুশি ছিলেন ক্যারেগার, তা হওয়ারও কথা! কিন্তু হার নিশ্চিত হওয়ার পর চিত্র বদলে যায়। জল গড়িয়ে না পড়লেও চোখ মুছতে মুছতে ধারাভাষ্য দেন তিনি।
হারের পর ক্যারেগার দোষ দিয়েছেন লিভারপুল ডিফেন্ডার ফন ডাইককে। আর হারকে ব্যাখ্যা করেছেন চরম লজ্জাজনক হিসেবে। তিনি বলেন, ‘লিভারপুলের জন্য এটা লজ্জাজনক। একইসঙ্গে বিব্রতকরও।’
প্রথমার্ধের ২টি গোলই ছিল লিভারপুলের সাফল্য। এরপর একে একে ৫টি গোল করে কার্লো অ্যানচেলত্তির শিষ্যরা। যার শুরুটা করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিউস জুনিয়র। পরে আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ফলে ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে সফরকারী রিয়াল মাদ্রিদ। তেড়েফুঁড়ে চালাতে থাকে আক্রমণ। যার প্রেক্ষিতে ভিনিসিউসকে ফেলে দিলে লিভারপুলের অর্ধের কর্নারের দিকে ফ্রিকিক পায় লস ব্লাঙ্কোরা। লুকা মদ্রিচের নেওয়া ফ্রিকিকে হেড করে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও। ৮ মিনিট পর দৃশ্যপটে করিম বেনজেমা। লিভারপুলের অর্ধে বল ক্লিয়ারে ব্যর্থ হন বজেটিচ। বল পেয়ে যান কারভাহাল। তিনি পাস বাড়ান রদ্রিগোর উদ্দেশ্যে। রদ্রিগো থেকে বল পেয়ে যান বেনজেমা। ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট জো গোমেজের শরীরে লেগে দিক বদলে জালে জড়িয়ে যায়।
৬৭ মিনিটে হেন্ডারসন বল হারালে প্রতি আক্রমণে ওঠেন মদ্রিচ। দারুণ গতিতে বল নিয়ে দৌড়ে লিভারপুলের অর্ধে ঢুঁকে বাঁয়ে ভিনিসিউসকে পাস বাড়ান তিনি। এই ব্রাজিলিয়ান লিভারপুলের ফন ডাইকের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল বাড়ান বেনজেমার উদ্দেশ্যে। তাকে বাঁধা দিতে এগিয়ে আসেন লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় তাকে পরাস্ত করে গোল করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।