শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
ট্রাম্পের সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন চান জেলেনস্কি ফেসবুকে নিজের সম্পদের বিবরণ দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন মঙ্গলবার আলফাডাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের স্হান জনগণ মেনে নিবেনা : আমিনুল হক সাভারের জাহিদ হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড অস্ত্রোপচারের পর আইসিইউতে সাইফ আলী খান খাদ্যপণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারে ৭ দিনের আলটিমেটাম ব্যবসায়ীদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল, পুলিশের লাঠিচার্জ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা: অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা

ফেসবুকে নিজের সম্পদের বিবরণ দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

সিটিজেন প্রতিবেদকঃ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার তাগিদ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সে উদ্দেশ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য সময়ও বেধে দেয় সরকার। সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।

এবার সেই সম্পদের বিবরণী নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক পোস্টে সেই বিবরণী লিখে প্রকাশ করেন তিনি।

স্টেট্যাসে তিনি লেখেন, ২০০ সালের দিকে ঢাকার নিম্নবিত্ত এলাকা যাত্রাবাড়ীর মধ্যবর্তী দনিয়া এলাকায় পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেন। সেই ভবনের ১১৫০ স্কয়ারফিটের একটি ফ্ল্যাট আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। ২০১০ সালে দনিয়া ছেড়ে আসলেও এখনও ফ্ল্যাটটি আমার মালিকানায় আছে।

তিনি লেখেন, তার ভাই এখনও সেই ভবনে বসবাস করেন। এক সময় ভেবেছিলেন তার কাছে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।

শফিকুল আলম লেখেন, জীবনের কোনো এক সময় হয়তো দনিয়ায় ফিরে যাবো। বাড়িতে গেলে আমি এখনও করিডোরে বাবা-মাকে হাঁটতে দেখি। আমার প্রয়াত বাবার কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ শুনি, মা যেভাবে বিনয়ের সঙ্গে সালাত আদায় করতেন তাও যেন দেখতে পাই।

২০১৪ সালে রাজধানীর শাহীনবাগে একটি ১১০০ স্কয়ারফিটের ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন স্ট্যাটাসে। ভাই এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছু টাকা দিয়েছিলেন, আর বাকিটা আমার সঞ্চয় থেকে দিয়েছিলাম। আমি জায়গাটি ভালোবাসি। তবে নিরাপত্তার কারণে হয়ত খুব শিগগিরই এই ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে হবে।

শফিকুল আলমের ভাষ্য, আমাদের এলাকার মসজিদের ভিক্ষুকরাও আমাকে চেনেন। কিছুদিন আগে কয়েকজন তরুণ আমাকে তাদের আড্ডার সামনে দিয়ে হাঁটার সময় ‘গণশত্রু’ বলে ডেকেছিল। এ কারণে আমাকে হয়ত শিগগিরই সরকারি একটি ফ্ল্যাটে চলে যেতে হবে। এসব নিয়ে আমার পরিবার বেশ চিন্তিত।

এছাড়া তিনি আরও লেখেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি আমার এক শ্যালকের কাছ থেকে ময়মনসিংহে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। খুব সস্তায় পেয়েছিলাম সেটি। একই ভবনে আমার স্ত্রী তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই দুটি ফ্ল্যাট আমাদের জন্য মাসিক আয়ের একটি উৎস। এছাড়া গ্রামে আমার ৪০ শতাংশ আবাদি জমি আছে।

স্ট্যাটাসে কিছু নগদ অর্থের বিবরণ দিয়েছেন শফিকুল আলম। তিনি লেখেন, আমার একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা (১১.৪ মিলিয়ন টাকা) সঞ্চিত আছে। এই আগস্টে আমি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিতে দুই দশকের চাকরি ছেড়েছি। অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের বেশিরভাগই আমার এএফপির চাকরির পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির। কিছু মানুষ আমার কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ধার নিয়েছে। আমার ধারণা, বছরের শেষে আমার সঞ্চয় হয় অপরিবর্তিত থাকবে, নয়তো খরচের কারণে কমে যাবে। আমার একটি গাড়ি আছে। ঢাকা শহরে একটি গাড়ি পরিচালনা এবং ড্রাইভার রাখার মাসিক খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com