শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

স্কুল ছেড়ে বাড়িতেই পড়াশোনা করছে কাশ্মীরি শিশুরা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ১৮২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: দফায় দফায় কারফিউ আর সহিংসতায় এখনও কাশ্মীর জুড়ে আতঙ্ক রয়েই গেছে। তাই কাশ্মীরি শিশুদের বাবা-মা তাদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতেই পড়াশোনা করছে এসব শিক্ষার্থী।

কাশ্মীরের শ্রীনগরের হজরতবালে এলাকায় নিজের বাড়িতে অন্তত ২শ ছাত্রছাত্রীকে পড়ানো শুরু করেছেন মুনাজা ইমরান বাট। আগস্টের মাঝামাঝিতে স্কুল খুলে দেয়া হলেও দফায় দফায় কারফিউয়ের কারণে উপত্যকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই হাজির হতে পারছে না স্কুলে।
ফলে মুনাজার মতো প্রাইভেট শিক্ষকদের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই অভিভাবকদের। মুনাজা বলেন, আমি আগে থেকেই আমার ভাইবোনদের পড়াতাম। গত কয়েকদিন ধরে অনেক অভিভাবক এসে অনুরোধ করছেন তাদের এলাকায় গিয়ে পড়ানোর জন্য। আসলে ছেলেমেয়েদের এখন স্কুলে পাঠানো উচিত হবে কি-না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না বাবা-মায়েরা।

২০১৬ সালের জুলাইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরেও উত্তাল হয়েছিল উপত্যকা। সে সময়ও লাগাতার অশান্তি ও কারফিউয়ের জের ধরে প্রায় ৯০ দিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। মুনাজা জানিয়েছেন, তখনও এভাবেই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রাইভেট শিক্ষকরা। অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ স্কুলের পরীক্ষা শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে।

তাই দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকলেও ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় অংশ নিতে যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে নজর রাখছেন তারা। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার ফর্ম দেওয়া হয়নি কাশ্মীরের কোনও স্কুলে। পরীক্ষা ছাড়াই সরকার সব ছাত্র-ছাত্রীদের পরের ক্লাসে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ২০০৮, ২০১০ এবং ২০১৬ সালে একইভাবে পরীক্ষা না নিয়ে পরের ক্লাসে তুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।

স্কুলে না গেলেও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয়, সেদিকে নজর রাখছেন অভিভাবকরা। নওগামের বাসিন্দা আসিফা বলেন, গত মাস থেকেই বাচ্চাদের বাড়িতে পড়াচ্ছেন তিনি। তার মতে, স্কুলে না যাওয়ার যে ক্ষতি, তা অনেকটাই সামলানো যাবে এতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com