করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কর্মস্থল গাজীপুর থেকে খুলনায় গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জে গার্মেন্টসকর্মী (২৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার রাতে গোপালগঞ্জ শহরের ঘোষেরচর এলাকার একটি নির্জন পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইজিবাইক চালক মো. খায়রুল ইসলাম শেখকে (২৫) পুলিশ সোমবার রাতেই গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার ওই গর্মেন্টস কর্মী বাদী হয়ে ইজিবাইক চালককে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। খায়রুল ইসলাম শেখ শহরে মৌলভীপাড়ার ইছাহাক শেখের ছেলে। সে ভাড়ায় চালিত ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
গ্রেফতারকৃত ইজিবাইক চালক পুলিশের কাছে ওই গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ওই গার্মেন্টস কর্মী গাজীপুরের একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। করোনার কারণে গাজীপুর জেলা লকডাউন করা হয়েছে। তাই কারখানা বন্ধ রয়েছে। তিনি দু’দিন ঢাকার জুরাইনে ভাইয়ের বাসায় ছিলেন ।সোমবার ঢাকা থেকে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার জয়পুর গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিভিন্ন যানবাহনে করে সোমবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনস মোড়ে এসে পৌঁছান । তিনি খুলনা যাওয়ার জন্য সেখানে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তখন প্রায় সব যানবাহনই বন্ধ ছিল। এ সময় ইজিবাইক চালক খায়রুল সকালে তাকে ইজিবাইকে করে খুলনা পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। রাতে তার বাড়িতে স্ত্রী, মা-বোনের কাছে থাকার প্রস্তাব দেয়। এতে গার্মেন্টসকর্মী রাজি হয়ে ইজিবাইক চেপে বসেন। ওই চালক তাকে শহরের ঘেষের চরের নির্জন পুকুর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই গার্মেন্টসকর্মী থানায় এসে ঘটনার খুলে বলেন। পুলিশ শহরের মৌলভীপাড়া থেকে খায়রুলকে গভীর রাতে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ইজিবাইক চালক পুলিশের কাছে ওই গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ওই গার্মেন্টস কর্মীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।