ভোলা:ভোলার লালমোহন উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০০ বস্তা চাল উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একজন তদারক কর্মকর্তা।
মামলার আসামি মনির মাতব্বর। তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার (পরিবেশক)। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ঘরবন্দি মানুষজনকে সহায়তার জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু লালমোহনের বিভিন্ন এলাকায় চাল চুরির অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সাংসদ নুরন্নুবী চৌধুরী ত্রাণের চাল চুরি না করার জন্য লালমোহনের বিভিন্ন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য, ডিলারসহ নেতা-কর্মীদের ২১ এপ্রিল শপথ পড়ান। তা উপেক্ষা করেছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডিলার মনির মাতব্বর।
ডিলার মনির মাতব্বর ১০০ বস্তা চাল সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের মধ্যে ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি না করে নিজের গুদামে রেখে দেন। এ খবর জানতে পারেন তদারক কর্মকর্তা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সুনীল চন্দ্র মজুমদার। তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই গুদামে তালা মেরে দেন এবং সরকারি কর্মকর্তার অনুমতি ও উপস্থিতি ছাড়া চাল বিতরণ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু ডিলার ১২ বস্তা চাল সরিয়ে ফেলেন। বিষয়টি তদারক কর্মকর্তা উপজেলা প্র্রশাসনকে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান শনিবার বিকেলে পুলিশ নিয়ে অভিযানে যান।
ই্উএনও বলেন, উপজেলার সৈনিক বাজারে ডিলার মনির মাতব্বরের বসতঘর থেকে ১২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৮৮ বস্তা চাল তাঁর গুদামে পাওয়া যায়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মনির পালিয়ে যান।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির বলেন, তদারক কর্মকর্তা সুনিল চন্দ্র মজুমদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এতে ডিলার মনিরকে একমাত্র আসামি করেছেন তিনি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।