বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

বছরখানেক পর রাজা চার্লসের সঙ্গে হ্যারির সাক্ষাৎ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাজপরিবার থেকে ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন কিরেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। সম্প্রতি তিনি তার বাবা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথমবার তারা মুখোমুখি হলেন। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

ডিউক অব স্যাসেক্স প্রিন্স হ্যারি সর্বশেষ তার বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এর কিছুদিন পরই রাজা অজ্ঞাত এক ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

বুধবার লন্ডনের ক্ল্যারেন্স হাউসে ৭৬ বছর বয়সী রাজা তৃতীয় চার্লস ছেলের সঙ্গে একান্তে চা পান করেছেন বলে বাকিংহাম প্যালেস নিশ্চিত করেছে। ৪০ বছর বয়সী হ্যারি সাক্ষাৎ শেষে সরাসরি লন্ডনের ইনভিক্টাস গেমসের এক অনুষ্ঠানে যান। সেখানে এক সাংবাদিক তার বাবার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, তিনি ভালো আছেন, ধন্যবাদ।’’

কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য সোমবার ব্রিটেনে আসেন হ্যারি। পরে বুধবার সকালে একটি গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান তিনি। ওই গবেষণা কেন্দ্রটি বিস্ফোরণে আহতদের উন্নত চিকিৎসার কাজ করে।

২০২০ সালে হ্যারি ও তার মার্কিন স্ত্রী মেগান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে চলে যান। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন এই দম্পতি। তখন থেকে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার, টেলিভিশন ডকুমেন্টারি ও হ্যারির আত্মজীবনী স্পেয়ারের মাধ্যমে রাজপরিবার এবং রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন তারা।

হ্যারি বিশেষ করে তার বাবা চার্লস এবং বড় ভাই ও সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামের তীব্র সমালোচনা করেন। এই সমালোচনার জেরে রাজ পরিবারের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারির সম্পর্ক একেবারে ভেঙে যায়।

তবে গত মে মাসে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক এক মামলায় হেরে যাওয়ার পর হ্যারি বলেছিলেন, তিনি রাজপরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের ইচ্ছা পোষণ করেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, বই লেখার জন্য আমার পরিবারের কিছু সদস্য আমাকে কখনও ক্ষমা করবে না। অনেক কিছুর জন্যই তারা আমাকে ক্ষমা করবে না। কিন্তু জানেন… আমি পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন চাই। আর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে নেই। জীবন অমূল্য।

ডিউক অব সাসেক্স বলেন, ‘‘আমি জানি না আমার বাবা আর কতদিন বাঁচবেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলছেন না। তবে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিল ভালোই হবে।’’

• অনেক যন্ত্রণা
ব্রিটেন সফরের আগে বাকিংহাম প্যালেস এবং হ্যারির প্রতিনিধিরা রাজা ও ছেলের সাক্ষাৎ হবে কি না সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি। তবে গত জুলাইয়ে চার্লসের যোগাযোগ টিমের প্রধানের সঙ্গে হ্যারির গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের লন্ডনে গোপন বৈঠকের ছবি প্রকাশিত হয়। তখন এই বৈঠককে দেশটির সংবাদমাধ্যমে বাবা-ছেলের সম্ভাব্য পুনর্মিলনের প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ইতিহাসবিদ ও লেখক অ্যান্থনি সেলডন বলেন, তাদের সম্পর্ক মেরামত রাজতন্ত্র এবং চার্লস ও হ্যারির ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘রাজা রাজাই। কিন্তু তিনি একইসঙ্গে একজন মানুষ এবং স্নেহশীল পিতা।

‘‘আমি মনে করি, এই বিরোধ দুজনের জন্যই অনেক যন্ত্রণার কারণ হয়েছে। তাই এটি যদি এই মুহূর্তে কিংবা ভবিষ্যতেও আংশিক নিরাময় করা যায়, তাহলে সেটাই সবচেয়ে ভালো।’’

সূত্র: রয়টার্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com