বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাঠমুন্ডু ফ্লাইট স্থগিত উত্তরায় খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া উত্তরখানে সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা নির্বাচনের ফল ম্যানিপুলেশনের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করবে: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদ ১৬ বছর বয়সীরাও পাবেন ‘জাতীয় পরিচয় পত্র’ ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হতে পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীর মৃত্যু শেখ হাসিনার মামলায় ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক

শেরে বাংলা’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৬৬ বার পঠিত

 

নিউজ ডেস্ক: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও দূরদর্শি এই মহান নেতার ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন ২৮ এপ্রিল তার মরদেহ ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় তার ২৭ কে. এম. দাস লেনের বাসায় রাখা হয়। ঢাকার পল্টন ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে সমাহিত করা হয়।

একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই আজ ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত। রেডিও পাকিস্তান সেদিন সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে সারাদিন কোরআন পাঠ করে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে তার প্রতি সম্মান দেখানো হয়। ১৯৬২ সালের ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকতাবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদান বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্ব ও অহংকারের।

শেরে বাংলা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট ‘শেরে বাংলা’ এবং ‘হক সাহেব’ দু’নামেই নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক অনেক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

একমাত্র প্রেসিডেন্টের পদটি ছাড়া সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ ছিল না, যা তিনি অলঙ্কৃত করেননি। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফজলুল হক এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

সাধারণ মানুষের মাঝে তিনি হাসি ফুটিয়ে ছিলেন শিক্ষার প্রকৃত আলো জ্বেলে ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ।ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার সাধনা ছিল তার আজীবনের। তারই প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ, লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ, তার স্বগ্রাম চাখারে ফজলুল হক কলেজ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

১৯৪০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল প্রতিষ্ঠিত হয় শেরে বাংলার প্রচেষ্টাতেই । একই বছরে তার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় মুন্সিগঞ্জে প্রতিষ্ঠা হয় হরগঙ্গা কলেজ। তার নিজ গ্রামে ও একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি এখানে মাদ্রাসা ও হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তপসিলি সম্প্রদায়ের শিক্ষার জন্য তিনি প্রথম বাজেটে অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। ফজলুল হক মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে কলকাতায় লেডি ব্রার্বোন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

জন্ম ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালের রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে। বিপুল ঐশ্বর্যশালী পিতার একমাত্র সন্তান হয়েও ফজলুল হক বাল্যকাল থেকেই বহু সদগুণের অধিকারী ছিলেন। তেমনি শৃঙ্খলা ও আদর্শের প্রতি অনুরক্ত, বাল্যকাল থেকেই তেজস্বিতা, তীক্ষ্ণ মেধা ও প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় তার। কর্মজীবনেও ছিলেন উজ্জল।

প্রতিবছর শেরে বাংলার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে। মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এবার করোনা পরিস্থিতিতে তেমন কোন কর্মসূচীর আয়োজন নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com