নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: বৈশ্বিক দুর্যোগ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে চালু হওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার চৈতী কম্পোজিটের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে কিনা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনাকালে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আল-মামুন বলেন, মহামারী আকার ধারণকারী অদৃশ্য দানব করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে যেহেতু এখনো পর্যন্ত কোনো ঔষুধ আবিস্কৃত হয়নি তাই এ সঙ্কটময় মুহুর্তে সচেতনতাই একটি বড় ভ্যাকসিন। আমাদের সবাইকে সতর্ক এবং আত্মসচেতন হতে হবে। কেননা এ মুহুর্তে আত্মসচেতনতাই বড় একটি ঔষুধ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত পোশাক প্রস্ততকারক বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এ অভিযানে কাউকে কোন জরিমানা না করে সবাইকে আরো বেশী সচেতন হওয়ার আহবান জানান আল-মামুন।
ফ্যাক্টরীটির চালু হওয়া দুটি ফ্লোর পরিদর্শন করে সোনারগাঁ এসিল্যান্ড মোঃ আল-মামুন কারখানা কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আরো বেশী মনোযোগী হতে ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক টেবিলে একের অধিক লোক না বসা, একজন থেকে অপরজনের কমপক্ষে তিন ফুট দুরত্ব বাজয় রাখাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
এছাড়া তিনি শ্রমিকদেরকেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। পরিদর্শন শেষে তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। এসকল প্রতিষ্ঠানগুলো সচেতনতা ও সতর্কতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে কিনা তা তদারকি করতেই আমরা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি। যদি কোন প্রতিষ্ঠান সরকারী বিধি মেনে না চলে তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আল-মামুনের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৫ এলএলআরএস ব্যাটালিয়নের মেজর সাজ্জাদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি ব্যাটালিয়ন, চৈতী গ্রুপ ডাইরেক্টর মেজর মেজবাউল আলম, জিএম মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীগুলোতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।