রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশে কোন জঙ্গি নেই ; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নৈতিকতা ও মানবসেবাই রোটারির প্রকৃত শক্তি ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে: উত্তরা ও উত্তরখানে বিএনপির লিফলেট বিতরণে সমাবেশে আফাজ উদ্দিন ৩১ দফার ভিত্তিতে মানবিক রাষ্ট্র গঠনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে: এস এম জাহাঙ্গীর পিআর পদ্ধতি চায় যোগ্যতাহীনরা, জনগণ চায় ব্যালটে ভোট দিয়ে সরকার গঠন – আমিনুল হক শ্যামলীর ইইউবি ক্যাম্পাস বিক্রির অভিযোগে ভূয়া ট্রাস্টির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন জবাবদিহিমূলক সরকার গড়বে বিএনপি: আমিনুল হক হেলমেটে বলের আঘাতে মাঝপথেই টেস্ট শেষ বেনেটের সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর অর্ডিন্যান্স’-এর খসড়া অনুমোদন

গবেষণাগারে মানব ভ্রূণ জন্ম!

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০
  • ২৬১ বার পঠিত

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো গবেষণাগারে মানব ভ্রণ জন্ম দিয়েছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল ‘মানুষের ব্লুপ্রিন্ট’ শনাক্ত করার জন্য যা প্রাথমিক বিকাশের ‘ব্ল্যাক বক্স’ সময় হিসেবে পরিচিত, তা অধ্যায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা অন্য একটি ভ্রূণ থেকে স্টেম সেল বের করে এরপর গবেষণাগারে সেটির বেড়ে উঠা পর্যবেক্ষণ করেন। বিশ্বের প্রথম এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুর জন্মগত ত্রুটি এবং রোগের কারণ জানা সম্ভব হতে পারে। যেমন অ্যালকোহল, ওষুধ, রাসায়নিক এবং সংক্রমণের প্রভাব বোঝা যেতে পারে। ৎ

বিশ্বে এখন পর্যন্ত এ ধরনের গবেষণা কেবলমাত্র পশুর ভ্রূণের ওপর করা হয়েছে। নৈতিকতার প্রশ্নে গবেষণারে মানব ভ্রুণ জন্ম দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদিত নয়। তবে বিজ্ঞানীরা যুক্তরাজ্যের একটি আইনের ফাঁক ব্যবহার করে এ গবেষণা করেন।

গবেষণাগারে মস্তিষ্কের গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় কোষগুলো ছাড়াই ভ্রূণের জন্ম দেয়া হয়, তাই তাত্ত্বিকভাবে এটি মানুষের মতো বিকশিত হতে পারে না। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর আলফোনসো মার্টিনেজ-আরিয়াস বলেন, ‘আমাদের মডেল একজন মানুষের ব্লুপ্রিন্টের অংশ প্রকাশ করে। ভ্রূণের উন্নয়নমূলক প্রক্রিয়াগুলো প্রত্যক্ষ করা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ একটি বিষয়, যা এখন পর্যন্ত অজানা ছিল।’

বৃহস্পতিবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফল বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত এবং জেনেটিক ডিজঅর্ডার মতো চিকিৎসার নানা বিষয়েও আলোকপাত করতে পারে।

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে প্রতি ৪৫ জন শিশুর মধ্যে একজন জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। যার মধ্যে সর্বাধিক কমন হলো- হৃৎপিণ্ডের ত্রুটি, ডাউন সিনড্রোম এবং স্পিনা বিফিডা।

ভ্রূণের ১৮ থেকে ২১ দিনের মধ্যেকার সময়টি ব্ল্যাক বক্স সময়কাল, যা গ্যাস্ট্রুলেশন হিসেবে পরিচিত। এ সময়ে মানবদেহের ব্লুপ্রিন্ট বা নকশা তৈরি হয়। আইনী বিধিনিষেধের কারণে গবেষণাগারে ১৪ দিনের বেশি বয়সী মানব ভ্রূণ নিয়ে গবেষণার অনুমতি না থাকায়, গ্যাস্ট্রুলেশন এখন পর্যন্ত রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে।

এ গবেষণার সহ-গবেষক ডা. নওমি মরিস বলেন, ‘আমাদের সিস্টেম জন্মগত ত্রুটি অধ্যয়নের জন্য দরকারি প্রমাণিত হতে পারে।’

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাগডালেনা জের্নিকা-গয়েটস বলেন: ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। মানব বিকাশের বেশিরভাগই রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে। ভ্রূণ যখন মাত্র ৩ সপ্তাহ বয়সী হয় তখন রোগ সৃষ্টির বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকে। নতুন গবেষণা পদ্ধতি এই প্রক্রিয়াটি নিয়ে সরাসরি গবেষণার সুবিধা দেয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com