বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
এনবিআরের ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনার বদলি সম্প্রতি ফ্লাইটসমূহে কারিগরি ত্রুটির প্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গৃহীত পদক্ষেপ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার খর্ব হবে; মির্জা ফকরুল চীন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরছেন নেইমার! বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বেপরোয়া লরির ধাক্কায় টঙ্গী উড়াল সড়কে নারীর মৃত্যু ধানমন্ডি ৩২-এ ফুল দিতে আসা রিকশাচালক হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে

কারবালার সঙ্গে ১৫ আগস্ট হত‌্যাকাণ্ডের অদ্ভূত মিল আছে: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০
  • ২৩৮ বার পঠিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের অদ্ভুত মিল আছে।

রোববার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৫ আগস্টের শহীদের স্মরণে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ মন্তব‌্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যদি আমরা ১৫ আগস্টের দিকে তাকাই…। আপনারা জানেন, আজ আশুরার দিন। সেদিন হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি ইমাম হোসেনকে কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিবিসিতে কর্নেল রশিদ, ফারুকের ইন্টারভিউ এবং বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকায় খবর বেরিয়েছিল যে, এই খুনিরা স্বীকার করেছিলেন, তাদের সঙ্গে জিয়াউর রহমান আছেন। জিয়াউর রহমানের কাছ থেকেই তারা সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছিলেন। আর সেই সঙ্গে বেইমানি করেছিলেন খন্দকার মোশতাক।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে খন্দকার মোশতাক যে সম্পূর্ণ জড়িত…। ১৫ আগস্টের পর মোশতাক নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছিলেন জিয়াউর রহমান। সে সময়ের সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দিয়ে মোশতাক জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান বানান এবং বঙ্গভবনে যতদিন ছিলেন, জিয়া রহমান সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতেন, ওঠাবসা হতো, আলোচনা হতো।’

বাংলার মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনে আমরা একটানা দুই বছর বাবাকে কাছে পাইনি। যদি হিসাব করে দেখি, একটা বছর বাদ গেলে তার পরের বছরই তিনি কারাগারে। ঘরে না যত দেখা হয়েছে তার চেয়ে বেশি জেলগেটে দেখা করতে হয়েছে। তিনি তার জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন কেন? বাংলাদেশের জনগণের জন্য।

বঙ্গবন্ধু মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাই কি তার অপরাধ ছিল? পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল, সে রাষ্ট্রটি নির্মাণের প্রতিও তার অবদান ছিল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছিলেন। সে সময় তাদের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু।

‘কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই দেখা গেছে, বাঙালি শোষিত-নির্যাতিত-বঞ্চিত। বাংলাদেশের উপার্জিত অর্থ দিয়েই পশ্চিম পাকিস্তানের মরুভূমিতে ফুল ফোটানো হচ্ছে। আর আমাদের দেশের মানুষ দরিদ্র-বঞ্চিত-শোষিত থেকে যাচ্ছে। এই বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com